কুলাউড়া প্রতিনিধি

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৮

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা ছিল: এমএম শাহীন

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সাথে এক সময় আমার সংশ্লিষ্টতা ছিল মন্তব্য করে মহাজোটের শরীক বিকল্পধারার প্রার্থী এমএম শাহীন বলেছেন, আমি একটি অশুদ্ধ রাজনীতির খপ্পরে পড়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিলাম। সেই খাদের কিনারা থেকে আপনাদের প্রিয় নেত্রী, আপনাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি আমাকে টেনে তুলে আমাকে নৌকার প্রার্থী দেয়ার বিবেচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মহাজোট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে মহাজোট গঠন করা হয়েছে। আমি অস্বীকার করবো না, একসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা ছিল।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বুধবার কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মহাজোটের শরীক বিকল্পধারার প্রার্থী এমএম শাহীন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার ভাই, আমার দাদার বাসায় মুক্তিযুদ্ধের সমরাস্ত্র জমা হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধে শেষে আমার বাসায় জমাকৃত সেই অস্ত্র থানায় জমা দেয়া হয়। আমি সেই পরিবারের সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়েছি আমি নবীন ব্যক্তি। একজন সহযাত্রী হিসেবে, একজন কর্মী হিসেবে আপানদের সেবা করতে চাই। আপানদের সাথে কাজ করে, আপনাদের লালিত সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে মহান পরিকল্পনা ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের একজন সহযাত্রী হিসেবে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে আমি পাশে থাকতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ‘ধানের শীষের বিরুদ্ধে আমি দুইবার নির্বাচন করেছি। ধানের শীষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আমি ফুটবল মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে আমি এমপি হয়েছিলাম। ধানের শীষ আমার কাছে নমিনেশন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সামান্য ফুটবল দিয়ে যারা ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে এসেছিলেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আগামী ৩০ তারিখ আমি প্রমাণ করে দিব কে সত্য আর কে মিথ্যা। কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর কে উন্নয়নের পক্ষের শক্তি তা আগামী ৩০ তারিখ প্রমাণ হয়ে যাবে। কুলাউড়ায় বিএনপির ভোটের বৃহৎ অংশ আমার ব্যক্তিগত।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করছি, বিশ্বের প্রশংসিত নেত্রী, এই বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে যিনি পরিচালিত করছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যিনি গত ১০ বছর দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।’

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর আপনাদের পাহারাদার হিসেবে আমি আপনাদের সাথে ছিলাম। বন্যায়-খড়ায়, রোজায়-পূজায়, দাফনে-কাফনে আমি যখনই খবর পেয়েছি, আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি জাতীয় নেতা হতে চাই না। আমি দাফন-কাফনের একজন নেতা হয়ে, সহযাত্রী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আমি কথা দিচ্ছি, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, আপনাদের সহকর্মী হিসেবে কাজ করে যাব। এর তিল পরিমাণ বিচ্যুতি ঘটবে না। আমি কখনো মিথ্যাচারের রাজনীতি করি না।

বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের দাবীতে তিনি বলেন জয় বাংলা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার স্লোগান। এটা মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর স্লোগান। পরে তিনি, ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা’ শ্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

উল্লেখ্য, উক্ত কর্মী সভায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেণু ও যুগ্ম সাধারণ আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল এর সঞ্চালনায় এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে দলীয় বর্ধিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত