নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৬

অর্থমন্ত্রীর উন্নয়ন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার করছে: ড. মোমেন

সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেট-১ আসনে বিগত দশবছরের আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত ধরে উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, উন্নয়ন অস্বীকার করা, মিথ্যাচার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই তাদের কাজ। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় যেসব উন্নয়ন হয়েছে সেটা দৃশ্যমান।

তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অর্থমন্ত্রীর বরাদ্দে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা নিজের কৃতিত্ব দেখিয়ে বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীও উন্নয়নের প্রচারণা চালিয়েছেন। অথচ, এখন সিলেট-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী অস্বীকার করে বলছেন, সিলেটে কোন উন্নয়নই হয়নি। অন্ধ লোকও যা বিশ্বাস করবে না।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবসময় উদার। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি নেতা হওয়া সত্ত্বেও তিনি নগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন, যা অতীতে কখনো হয়নি। সিলেট সিটি ও সদর উপজেলায় বিগত দশ বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেট-১ আসন ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত ধরে হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন, আখাউড়া-সিলেট ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীতকরণ প্রকল্প, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। যার মাধ্যমে সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।

ড. মোমেন অর্থমন্ত্রী প্রসঙ্গে আরও বলেন, দশম জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর ক্ষমতার মোহ নেই, তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে ক্ষমতায় থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কোন নজির কেউ স্থাপন করেনি। একমাত্র আবুল মাল আবদুল মুহিত এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষাজীবন থেকে এখন পর্যন্ত কোন ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা নেই।

তিনি বলেন, দুই রকম মানুষ পদ থেকে অবসরে যায়। এক শ্রেণি হল যারা ব্যর্থ হয়ে, ক্ষোভে বা চাপের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়ায়। আর আরেক শ্রেণি হল, যারা সফলতার সাথে স্বগর্বে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। আমার বড় ভাই মুহিত একজন সফল অর্থনীতিবিদ। যিনি জাতীয় সংসদে দশটি বাজেট উত্থাপন করে স্বগর্বে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে বিশ্ববাসী জানতো। সে অবস্থা থেকে এদেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল করে মধ্য আয়ের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। তাঁর হাত ধরেই ৯৫ হাজার কোটি থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন।

ড. মোমেন বুধবার সকালে সিলেটের আদালতপাড়ায় গণসংযোগ করেন। ১১টায় নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায় জাতীয় শ্রমিকলীগ (বিদ্যুৎ, সিবিএ) আয়োজিত সভায় যোগদান করেন। দুপুর ১২টায় খাসদবিরস্থ দারুস সালাম মাদরাসায় মতবিনিময় ও দোয়া মাহফিলে যোগদান করেন। বেলা ২টায় নগরীর আম্বরখানায় সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। বিকেল ৩টায় নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের মেন্দিবাগ এলাকায় মহিলা সমাবেশ, সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট চেম্বার ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। রাতে সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের মেগারগাঁও এবং টুকের বাজার ইউনিয়নের নাজিরগাঁও এলাকায় পৃথক নির্বাচনী পথসভায় অংশ নেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট এএফএম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, সিলেট জেলা বারের সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা, এডভোকেট হোসেন আহমদ, বিপ্লব কান্তি দে মাধব, এডভোকেট বেলাল আহমদ, এডভোকেট রনজিত সরকার, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, এডভোকেট মাসুক আহমদ, এডভোকেট আব্দুল হাই, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, এডভোকেট নূরে আলম সিরাজী, এডভোকেট মামুনুর রশিদ, এডভোকেট মো. শাহজাহান, এডভোকেট জয়নাল আহমদ, এডভোকেট জাকারিয়া জালাল, এডভোকেট জ্যোতির্ময় পুরকায়স্ত কাঞ্চন, জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা জুবের খান, তপন মিত্র, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মোহাম্মদ আলী দুলাল, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন, মনোয়ার ইবনে রহমান, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, শামসুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল সিলেট জেলার সাবেক কমান্ডার মীর্জা জামাল পাশা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে হাসিন আহমদ, আব্দুল জব্বার জলিল, মুকির হোসেন, আব্দুল হান্নান সেলিম, আব্দুস সালাম, মতসির আলী, হুরায়রা ইফতার হোসেন, হাজী রইছ আলী, মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুল কুদ্দুস, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, শ্রমিকলীগ নেতা জাফর চৌধুরী, শামীম রশিদ, শুকুর আহমেদ, মোস্তাকিম আহমদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোশাররফ হোসেন, আনিসুজ্জামান আনিস, সোহাগ আহমদ, মহিলা কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকি, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহজাহান, মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিপা বেগম সোপা, ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহিদ, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, যুগ্ন সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম, ২৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কর্মকার, এমদাদুল, প্রবাসী নেতা রানা আহমদ, সিরাজ মিয়া, সুলতান আহমদ, হাসান আহমদ, তাজু মিয়া মোশাহিদ আলী, আব্দুর রহমানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত