কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:০৪

লন্ডন এক্সপ্রেসের নিহত চালকের বাড়িতে শোকের মাতম

লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস ও পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বাসচালকের বাড়ি শমশেরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদাইরদেউল গ্রামে বইছে শোকের মাতম। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী স্বজনরা তার মৃত্যুর শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তার লাশ ভাদাইর দেউল গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। পরিবারের লোকজনের সাথে দেখতে আসা স্বজনরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর পর সন্ধ্যা ৬টায় শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে নিহত এ চালকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাতে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত বাসচালক মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনা ড্রাইভার (৫৫) এর বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদাইরদেউল গ্রামে। তিনি শমশেরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদাইরদেউল মৃত মো. আব্দুল আজিজের বড় ছেলে ও মুক্তিযোদ্ধা, মৃত আব্দুল বাছিত মাস্টার এর ভাতিজা। সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ছিলেন তিনি। আনোয়ার হোসেন ১ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক। ছেলে জেল পুলিশে চাকুরী করে। তিন মেয়ে বিবাহিত ও এক মেয়ে লেখাপড়ায় আছে।

নিহত বাসচালক আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার চাচাতো ভাই এবিএম আরিফুজ্জামান অপু জানান, নিহত আনা ভাই ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুবই অমায়িক লোক ছিলেন। নিহত এ চালক শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শমশেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লামাবাজার জামে মসজিদের ভূমি দাতা পরিবারের সদস্য ছিলেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী অভিজাত পরিবহন লন্ডন এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বাসচালকসহ নিহত হন দুইজন। নিহত অপরজন ট্রাক চালকের সহযোগী ছিলেন বলে জানান গেছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮ জন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় এবং দুজনকে সিলেটের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত