গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ০১:১১

গোলাপগঞ্জে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী পণ্ড, প্রতিবাদে মানববন্ধন

গোলাপগঞ্জের আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাটে সৈয়দা আদিবা হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রশাসনের বাধায় পণ্ড হয়েছে। রোববার (১০ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় মাঠে এ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ ও বিদ্যালয়ের সভাপতির বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

জানা যায়, রোববার সকালে সৈয়দা আদিবা হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৯ থেকে ২০১৮ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজকরা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারন করে। কিন্তু গত শনিবার রাতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এতে উল্লেখ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য তারেক আহমদের মদদে বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কনসার্টের আয়োজন করেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে এই বিদ্যালয়ে কনসাার্ট অনুষ্ঠান হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরিপেক্ষিতে শনিবার রাতে থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে অনুষ্ঠান না করতে ১৫৪ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়াও একদল পুলিশ অনুষ্ঠানের স্থলে এসে প্যান্ডেল খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। এরপর রোববার সকালে পুর্ণনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেন।

এরপর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমদেও পদত্যাগ দাবি ও ইউপি সদস্য, যুবলীগ নেতা তারেক আহমদের উপর মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী দায়েরের প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এসময় অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী এমাদ হোসেন তার বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ৩মাস ধরে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কমিটির সদস্য ও গণ্যমান্যব্যক্তিদের পরামর্শ ও সম্মতিক্রমে অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করি। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অনুষ্ঠানের একদিন আগে তিনি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানান। এছাড়াও সভাপতি সাহাব উদ্দিনের কাছে আমাদের অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ অর্ধলক্ষাধিক টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি এই টাকা আত্নসাতের পায়তারা করে আমাদের অনুষ্ঠানটি পন্ড করেছেন। এসময় মানবন্ধনে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাইয়ুম, সুবেদ আহমদ, আমান পাপ্পু, রাজ্জাক আহমদ প্রমুখ।

এব্যাপার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার কাছে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কথা বলে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি জানতে পারি এখানে পুনর্মিলনীর নামে কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছিল। তাই আনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় এ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়। এদিকে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালিক বলেন, বিদ্যালয়ে কোন কনসার্ট অনুষ্ঠান ছিলনা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ছিল। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিও এ বিষয়ে অবগত ছিলেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অনুষ্ঠান বন্ধের আবেদন করলে আমরা এ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত