নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৬:৫৬

অবশেষে সুনামগঞ্জে প্রার্থী পরিবর্তন, চপলের বদলে মোবারক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সমালোচনার মুখে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীতায় পরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগ। এই উপজেলার চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনকে নতুন করে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এরআগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুর হুদা চপলকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। হাওরের বাঁধ নির্মানে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত থাকাবস্থায় চপলকে চেয়ারম্যা্ন পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়।


ওইদিন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ 'সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে হাওর দুর্নীতি মামলার আসামীকে আ. লীগের মনোনয়ন' শিরোনামে একটি প্রবিবেদন প্রকাশিত হয়। যা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

এনিয়ে সমালোচনার মুখে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই উপজেলায় প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় আওয়ামী লীগ।

প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা চপল ও মোবারকসহ চারজনের নাম কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছিলাম। প্রথমে চপলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, পরবর্তীতে বুধবার মনোনয়ন পুনঃবিবেচনা ও বিভিন্ন দিক যাচাই বাছাইকালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা চপলকে বাদ দিয়ে মোবারককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত মেনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোবারকের সাথে আছি।

এদিকে, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা রিটানিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন খায়রুল হুদা চপল। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মনিষ কান্তি দে মিন্টুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় হাওরের হাজার কোটি টাকার ফসল। এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৫ কর্মকর্তা ও বাঁধের কাজের ৪৬ জন ঠিকাদারকে আসামি করা হয়। এই ঠিকাদারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।

মামলা দায়েরের পর ওই বছরের ১৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় তিন মাস কারাভোগের পর ওই বছরের নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি চপলসহ ৩৪ জনকে বাদ দিয়ে আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত