গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ মে, ২০১৯ ২১:০১

গোলাপগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা ( মামলা নং-৯) দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে সফাই মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরো দুইজন পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।

পলাতকরা হলেন- আমুড়া নয়াটুল গ্রামের সুপার (২৭) ও একই উপজেলার ইসলামটুল গ্রামের আত্তর আলীর ছেলে এমাদ (৩৫)। জানা যায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির ইসলামটুল গ্রামে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন।

জানা যায়, উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির ইসলামটুল গ্রামের ধর্ষিতার স্বামী দেলওয়ার হোসেনের সাথে আটক সফাই মিয়া, একই এলাকার এমাদ ও আমুড়া নয়াটুল গ্রামের সুপার এর সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় প্রায়ই তারা দেলওয়ার হোসেনের বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং কৌশলে তার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে নোংরা ভাষা ব্যবহারসহ নানা ভাবে বিরক্ত করতেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ১১ টার দিকে সফাই মিয়া, সুপার ও এমাদ সংঘবদ্ধ হয়ে ইসলামটুল এলাকায় যান এবং সুপার ও এমাদ দুইজন মিলে দেলওয়ার হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে এনে গল্প গুজব করে সময় কাটাতে থাকেন। ওই সুযোগে সফাই মিয়া গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করলে তার চিৎকার শুনিয়া পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন এগিয়ে আসলে সফাই মিয়া পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সফাই মিয়াকে প্রধান আসামী করে মামলা নং ৯ দায়ের করেন।

পুলিশ ধর্ষিতাকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আটক সফাই মিয়ার বাড়ি একই উপজেলার ইসলামটুল গ্রামে। সে আখল মিয়ার ছেলে। পুলিশ রাতেই ধর্ষককে আটক করেছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কান্ত নাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক সাফাইকে আটক করা হয়েছে। তার সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত