কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৯ জুন, ২০১৯ ১৮:৪৯

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন প্রকল্প

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘চা বাগানকর্মীদের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এটি বাস্তবায়ন করবে এই প্রকল্প।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার ১৫টি চা বাগানে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী। এসব চা বাগানে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক ও অপ্রতুল। তাই এর মানবিক দিক বিবেচনায় পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের ওপর গুরুত্ত্বারোপ করে ‘চা বাগানকর্মীদের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায়. জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এটি বাস্তবায়ন করবে।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় বাগানের কর্মী ও তত্ত্বাবধায়নকারীদের জন্য কারিগরি, স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি ও হাইজিন প্রমোশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণে বাগানগুলোয় রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম ১১টি, রিং ওয়েল ১৩৬টি, অগভীর নলকূপ ১০৪টি, গভীর নলকূপ ১৮৩টি, অগভীর ও গভীর তারা নলকূপ স্থাপন করা হবে ৮১টি। এছাড়া কমিউনিটি ল্যাট্রিন স্থাপিত হবে ১৫টি ও ইমপ্রোভড ল্যাট্রিন ১৩৪৬টি স্থাপন করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. পনিরুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে চা বাগানগুলোয় নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ছিল না। এতে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করতো। বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হতো। বিষয়টি মানবিক বিধায় সরকার এ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে চা বাগানের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হবে। ফলে তা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এটি বাস্তবায়িত হলে চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চা বাগান ব্যবস্থাপকদের কাছে সাইট সিলেকশনের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত