সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১৩ জুলাই, ২০১৯ ১৯:৪৯

ধর্মপাশায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ

প্রবল বর্ষণ আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা, ধনু, বড়ইয়া, কংস ও বৌলাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে অবনতি হয়েছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। এদিকে নদীর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলা সদরের সাথে সব ক’টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যেই উপজেলার ১৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮০টি  বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও টানা বর্ষণে উপজেলার প্রায় সব কয়টি হাট-বাজারেও ভিটে সমান পানি উঠে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়েছে।

লাগামহীন বৃষ্টির কারণে হাওর এলাকার শ্রমজীবী মানুষেরা কাজে বেরুতে না পারায় মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে তাদেরকে। গো-খাদ্যসহ নানামুখী সমস্যায় পরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরবাসীকে।

এদিকে, বন্যার্ত শত শত দরিদ্র পরিবারের লোকজন স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিলেও এখনো তাঁদের জন্য সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।

উপজেলার মধ্যনগর থানা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আমার ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষই পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারকে আমরা স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা করে দিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওইসব বন্যার্ত লোকজনদের মাঝে সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা এসে পৌঁছায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির পানিতে এ উপজেলার বেশি কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে যে সব নিচু এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যে কোনো ধরণের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত