বড়লেখা প্রতিনিধি

০৯ আগস্ট, ২০১৯ ১৭:৫০

বাংলাদেশ আর গরিব নয়, ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে: পরিবেশ মন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। আগের মত আর গরিব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কেউ গৃহহীন থাকবে না। যাদের ঘর নাই পর্যায়ক্রমে আমাদের সরকার তাদের ঘর তৈরি করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘এই বন্যার সময়ও আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ টন চাল বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। এই যোগ্যতা অর্জন হয়েছে। আগে ৪০ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে ক্রয় করতে হত। এখন আর কিনে আনতে হয় না। আমরা এখন চাল বিক্রি করতে পারছি।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরমান আলী।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল খালিক বাদলের সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুনাম উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল আহমদ প্রমুখ।

এই সময় বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গোপাল দত্ত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘হাকালুকি হাওর পাড়ের মানুষ হিসেবে আমরা গর্ব করি। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় হাওর। হাওরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এই জন্য মৎস্যজীবী ও বিভিন্ন সমিতির লোকজনকে সচেতন হতে হবে। নতুন নতুন সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে। বাইরের লোকজনকে ডেকে এনে তাদের কাছে সমিতি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে এই সমিতির নামে অন্যরা বিল লিজ নিচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাইরের লোকজনকে ডেকে এনে সমিতি বিক্রি করবেন না। সকল সমিতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। নিজেদের স্বার্থে আপনারা এটা করবেন। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা লাভবান হবেন। বাইরের লোকজন সুবিধা নিতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে ২০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল এবং ১০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিড়া ও ৫০০ গ্রাম নুডুলসের একটি প্যাকেজ বিতরণ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১ হাজার ১০০ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত