নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:২৬

কোরবানির নির্ধারিত স্থান: এবারোও সাড়া মেলেনি নগরবাসীর

পরিবেশ দূষণ রোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ঈদে পশু কোরবানির জন্য এবার নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে ৩০টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তবে সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন নগরী ঘুরে দেখা গেছে সিসিক নির্ধারিত স্থানগুলো একেবারেই ফাঁকা। অপরদিকে, রাস্তাঘাট, গলি, বাড়ির গ্যারেজ, কিংবা বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় কোরবানি দেওয়া হয়েছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা না থাকা ও নির্ধারিত স্থানে সুযোগ সুবিধার অভাবেই এসব স্থানের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি বেশিরভাগ নাগরিক।

তবে সিসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে তা আরও বাড়বে।

নগরীর তেলিহাওর এলাকার প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত সিলভ্যালি ক্যাসেলের সামনে ৭টি পশু কোরবানি দিচ্ছিলেন ভবনটির একাধিক বাসিন্দা। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না দেওয়া প্রসঙ্গে তারা বলেন, আমরা আজ অনেক বছর থেকে এখানেই কোরবানি দিয়ে আসছি। তাছাড়া ওই স্থান বাসা থেকে অনেক দূরে। সেখানে কোরবানি দিয়ে মাংস নিয়ে আসারও কোনো সুবিধা নেই। ফলে বাসার সামনেই কোরবানি দিচ্ছি। কোরবানির পর আমরা নিজেরাই আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়েছি।

এদিন সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। বাসার সামনেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। আবার নগরীর বেশীরভাগই ওয়ার্ডেই নির্ধারিত স্থানে একটিও কোরবানি দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো: হানিফুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে এবার ২৭টি ওয়ার্ডে ৩০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ সেখানে কোরবানি দিতে গেলেও বেশিরভাগ লোকপি নিজেদের বাড়ির আশেপাশে পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

কিন্তু কেনো এমন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীর বাসিন্দাদের মধ্যে এখনো জনসচেতনতার অভাব রয়েছে। তা না হলে এতো প্রচার প্রচারণার পরও কেউই কেন নির্ধারিত স্থানে যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এটাও ঠিক নগরীর সকলকে একসাথে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার জন্য আনা যাবে না। এটি সময়ের ব্যাপার। আশা করি আগামী বছরগুলোতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সংখ্যা বাড়বে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত