গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:৫০

গোলাপগঞ্জ থানার এসআইসহ ২ জনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেব ও ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামের সাইফুল আলম খাঁ'র বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে ও তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম'র নিকট একটি দরখাস্ত করেছেন ভুক্তভোগী ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামের সাজিদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম।

দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামের সাজিদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ রেজাউল ইসলামের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত গৌছ উদ্দিন খাঁর পুত্র সাইফুল খাঁর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত ৪ জানুয়ারি সাইফুল খাঁ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলামের ভোগে থাকা জমি জোর করে দখল নিতে চাইলে রেজাউল তা প্রতিহত করেন।

এর কিছুদিন পর সাইফুল খাঁ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার সরেজমিন তদন্ত করেন এসআই শংকর চন্দ্র দেব। এরপর এসআই শংকর রেজাউল আলমকে হয়রানি করতে একটি কাল্পনিক প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়। এরপর আগস্টের ২৮ তারিখ রেজাউল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে (জিডি-৮০৩, নং এফ আই নং-৩২/১৯ ও নন জি, আর, মামলা নং-৭৪/২০১৯) যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করলে আদালত কাগজপত্র দেখে এ মামলাটি অব্যাহতি প্রদান করেন। ব্যর্থ হয়ে সাইফুল খাঁ কতিপয় ব্যক্তিকে র‍্যাব পরিচয়ে রেজাউলকে তুলে নিয়ে যেতে পাঠান। এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম ইসলাম গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তা আমলে নেয়নি পুলিশ। এ ঘটনার পর সাইফুল খাঁ আমেরিকা পালিয়ে যান বলেও দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়।

এরপর সাইফুল খাঁর সাথে মিলিত হয়ে শংকর চন্দ্র দে নন জি,আর ৭৪/১৯ইং মামলার হুবহু বর্ণনায় একই তারিখ ঘটনা উল্লেখ করে আরেকটি ( জি,ডি, নং-১০৭৫, নন, এফ আই,আর নং-৬৭/১৯ইং ও নন জি, আর, মামলা নং-৪৯/১৯) জিডির প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই জিডির তদন্তে এসআই শংকর বিবাদীকে তলব বা সরেজমিন কোন তদন্ত করেননি বলেও দরখাস্তে রেজাউল ইসলাম অভিযোগ করেন। তিনি এই হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারের সাহায্য প্রার্থনা করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অপরাধ করলে আমার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। তবে আমি কাউকে হয়রানি করিনি। সরেজমিন তদন্তে যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।

এদিকে সাইফুল আলম খাঁ আমেরিকায় থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পি.পি.এম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে অনেক দরখাস্ত জমা হয়। পর্যায়ক্রমে ফাইলগুলো আমার কাছে আসে। দরখাস্তটি আমার কাছে আসলে আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত