নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:৪৭

সিলেট জেলা বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা

সিলেটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নগরীর দরগাগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এমএ হক।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘যতদিন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ থাকবে, এর ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে থাকবেই। অবৈধ সরকার বিপ্লবের চেতনাকে ভয় পায়, তাই তারা ৭ই নভেম্বরের বিপ্লবের মহানায়ক মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। অথচ বিপ্লব এদেশের মানুষের শিরায় শিরায় বহমান। আর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশ-জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শক্রæ। তাই যতই জুলুম-নিপীড়ন চালানো হোক না কেনো, বিপ্লবীদের দমিয়ে রাখার সাধ্য কারো নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭ই নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সরকারকে ভুলে গেলে চলবেনা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাথা। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন রকম হতে পারতো। ৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তেমনই ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরাই আধিপত্যবাদী-সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলাম। ভবিষ্যতেও  স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল গাফফার, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আলী আহমদ, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আব্দুল আহাদ খান জামাল, আবুল কাশেম, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, জেলা যুবদল নেতা আক্তার আহমদ, সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন- ‘দেশ জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমিক জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আবার ৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর শহীদ জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেই সিপাহি জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছিল। অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার কারণে আজো আধিপত্যবাদীরা আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। তাই ৭ই নভেম্বরের জাতীয় চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আপোষহীন গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,  গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নেতৃত্বে এবং দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দীপ্ত শপথ নিতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত