নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:৪৪

বিদেশে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে সরকার জানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে সরকার কিছু জানে না। কারণ তাদের পাঠাতে কোন টাকা লাগে না তাই ১২শ ট্রাভেল এজেন্ট বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠায়। তবে কাকে কোথায় পাঠালো সে তথ্য মন্ত্রনালয়কে জানায় না তাই যখন কোন ঘটনা ঘটে তখন বলা হয় মন্ত্রনালয় খেয়াল করে না। এ বিষয়টি এখন মন্ত্রনালয়ের জন্য একটি ঝামেলা ও দুশ্চিন্তার বিষয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

শুক্রবার রাতে সিলেটে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনির্বান শিল্পী সংগঠনের হেমন্ত উৎসব ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাশ্যমকে আরো বলেন, প্রবাসে ৬লক্ষ নারী শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে ৩ লক্ষই কাজ করে সৌদি আরবে আর ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষনা তথ্য অনুয়ায়ী গত চার বছরে ৫১ জন লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন। কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা জানি না। তবে কেউ কেউ বলছেন, তারা অনেকেই আত্যহত্যা করেছেন। আর এবছর প্রায় ৮ হাজার নারী শ্রমিক ফিরেছেন। কিছু নারী সংগঠন দাবি করছেন বিদেশে নারী শ্রমিক বন্ধ করে দেয়ার জন্য। তবে দেশের নীতি অনুয়াযী পুরুষ মহিলা মধ্যে কোন বিভেদ করবে না মন্ত্রনালয়। দেশে বা বিদেশে যারা বাসা বাড়িতে কাজ করেন তারা অনেকেই নির্যাতনের শিকার হন। আর বিদেশে ভাষাগত ও নিয়ম কানুনের জন্য আরো বেশি নির্যাতনের শিকার হন বলে মন্ত্রব্য করেন মন্ত্রী।

এরপর অনির্বাণ শিল্পী সংগঠন, সিলেট আয়োজিত দুদিন ব্যাপি অনির্বাণ হেমন্ত উৎসব ২০১৯ এর প্রথম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেখানে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নশীলতার পাশাপাশি আমাদের মননশীলতার উন্নয়ন প্রয়োজন। আর তার জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক গণজাগরণ।  আমাদের সমৃদ্ধ মানুষ হতে হলে, আমাদের চিত্তের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, হৃদয়ের উৎকর্ষতা সাধন করতে হবে।

তিনি বলেন, এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের। গত দশ বছরে বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমা সবচেয়ে কম। যা বর্তমানে ১১.৩০ শতাংশ।  যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বাংলাদেশের দূর্বার এগিয়ে চলাকেই প্রমাণ করে।

অনির্বাণ সভাপতি নৃপেন্দ্র দাশ এর সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি শিল্পী সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম ও  সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত।

এর আগে সন্ধ্যে ৬ টায় জাতীয় সঙ্গীত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বৃন্দ পরিবেশনা ছাড়াও ছিলো কৃষক সংবর্ধনা। এসময় পাঁচ জন কৃষক এর মাথায়, আবহমান বাংলার ঐতিহ্য 'মাথাল' পড়িয়ে দেন প্রধান অতিথি।

আজ শনিবার দ্বিতীয় দিন। সন্ধ্যে ৬ টা থেকে উৎসবে রয়েছে আলোচনা সভা, গুনীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত