নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:২৩

ধর্মঘট প্রত্যাহার, তবু বন্ধ সিলেট-হবিগঞ্জ বিরতিহীন বাস

বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বৈঠক শেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসলেও সড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকাল দশটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেকে হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন সার্ভিস চলাচল করেনি। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী কোনও বাসও চলাচল করতে দেখা যায়নি।

বুধবার রাত সোয়া একটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরআগে শ্রমিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামসহ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিকেরা ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে যেসব দাবি যৌক্তিক মনে হবে, সেগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যে লাইসেন্স দিয়ে তারা এখন গাড়ি চালাচ্ছেন, তা আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর মধ্যে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাগজপত্র হালনাগাদ করবেন।

এদিকে, গভীর রাতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবর শুনে ভোর থেকেই টার্মিনাল ও বাস স্টপেজে আসতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বাস না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।

তবে বিভিন্ন রুটে লোকাল বাস চলাচল করেছে। তবে এগুলোতে যাত্রীর চাপ ছিলো অতিরিক্ত।

এই সুযোগে বিভিন্ন রুটে সিএনজি অটোরিকশা বাড়তি সার্ভিস দিচ্ছে। বাস সংকটের সুযোগে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা আদায় করে নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

এদিকে, কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের অনেককেই লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করে শ্রমিকদের ধর্মঘট, কোথাও কোথাও সড়ক অবরোধে গতকাল বুধবার কার্যত অচল হয়ে পড়ে পণ্য পরিবহন ও যাত্রীসেবা। ভোর থেকে ট্রাক–কাভার্ড ভ্যানের ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে পণ্য পরিবহন প্রায় বন্ধ ছিল। দেশের বন্দর, কৃষি ও নিত্যপণ্যের মোকাম থেকে বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত