নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৮:৫৩

বিয়েতে পরিবারের আপত্তি, তাই মৃত্যুকেই বরণ করে নিলেন নবদম্পতি

সুজন মিয়া ও কাজল আক্তার পরষ্পরের চাচাতো ভাইবোন। একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘর তাদের। এই দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার।

পরিবারের আপত্তির মুখেই পনেরো দিন আগে বিয়ে করেন তারা মামার বাড়ি থেকে কাজলকে নিয়ে এসে কোর্ট ম্যারেজ করেন সুজন। বিয়ের পর বাড়িতে ফিরে যান তারা।

তবু দুই পরিবার মেনে নেয়নি এই বিয়ে। বরং আরো ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের তোপের মুখে টিকতে না পেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন সুজন ও কাজল। শনিবার রাতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে যাত্রায় বেঁচে যান। অবেশেষে আজ রোববার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সুজন মিয়া (২১) ও কাজল আক্তার (১৮)।

এই জীবনে সহবাস হলো না তাদের, তাই সহমৃত্যুকেই বেছে নিলেন এই তরুণ দম্পতি।

সুজন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলামের চারহাটি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে আর কাজল একই বাড়ির নেছার মিয়ার মেয়ে।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, আত্মহত্যার ব্যাপারে দুই পরিবার মুখ খুলতে চাচ্ছে না তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সুজন ও কাজল ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাদের বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নেয়নি। শনিবার রাতে সুজন ও কাজল ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে তাদের ওয়াশ করা হয়।

রবিবার সকালে উভয়েই নিজ নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

ওসি জানান, অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত