সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জুলাই, ২০১৬ ১৩:১৮

হুলিয়াভুক্ত পলাতক শিবিরনেতা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ছাত্র শিবিরের এক সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। শিবির নেতা পারভেজ ১৩ টি নাশকতার মামলার হুলিয়াভুক্ত পলাতক আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মধুপুর কবরস্থান এলাকার এ ঘটনায় নিহত ইবনুল ইসলাম পারভেজ (২৯) শহরের বনানীপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

এর আগে শুক্রবার ভোরে ওই এলাকার কাছাকাছি উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে রাধামদন মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, পারভেজ ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই কনস্টেবল আরিফ ও সামান্ত কুমার আহত হন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, শিবির নেতা পারভেজ ১৩ টি নাশকতার মামলার হুলিয়াভুক্ত পলাতক আসামি।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। পুলিশের টহল যানটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

ওসির ভাষ্যমতে, আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে  ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া  ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা, ৩টি রামদা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১  নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় পারভেজকে। একই সময় পারভেজের সাথে আরো দুই জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে শিবির নেতা শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমান শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।

অন্যদিকে গত বুধবার শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ইবনুল ইসলাম পারভেজ,  শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমানকে তাদের কর্মী দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত