সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০১৬ ২০:৫৪

আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, শিশুসহ আহত ৫

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. লিটন (৩০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ, হাসপাতাল ও দলীয় সূত্র জানায়, আজ সকালে উপজেলার গুদিঘাটা বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আহসান ওরফে টুকুকে (৫০) হাতুড়িপেটা করে একই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি। নাজমুল আহসান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিনের অনুসারী।

অপরদিকে হামলাকারীরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের অনুসারী বলে পরিচিত। নাজমুলের আহত হওয়ার খবর পেয়ে রফিউদ্দিনের সমর্থকেরা গুদিঘাটা এলাকায় মহড়া দিয়ে আশরাফুলের সমর্থক আল আমিন (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেন।

এ ঘটনা নিয়ে দুপুর থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকে। বিকেলে পাঁচটার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় যুবলীগ কর্মী মো. লিটন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ফারুক খান (৫০) ও সিদ্দিকুর রহমান (৪৮) ও পথচারী মো. রাশেদ (১০) গুলিবিদ্ধ হন। লিটনকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত ফারুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, নিহত লিটন ও আহত শরীফুল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুরের অনুসারী। ফারুক ও সিদ্দিকুরের দলীয় পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়নি। নিহত লিটনের বাড়ি মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মাতুব্বর বলেন, নিহত লিটন যুবলীগের কর্মী। দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত