সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:১২

স্কুলে মোবাইল আনতে নিষেধ করায় শিক্ষকদের উপর হামলা

স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসতে নিষেধ করায় শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের এক ছাত্র ও তার অভিভাবকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মারধরের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান।

মারধরে আহতদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস (৫০) ও সহকারী শিক্ষিকা বনানী রায়কে (৩৬) গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ সাজ্জাদ মিনা ও মোছা মিনা নামে দুজনকে আটক করেছে।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক অখিল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া জানান, স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। গত ১৪ অগাস্ট নবম শ্রেণির ছাত্র জামিল মিনা জনি স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রেণি শিক্ষক সমশের আলী মোল্লাকে ফোন উদ্ধার করে তার কাছে রেখে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক।

তিনি জানান, “ক্লাস শেষে ওই ছাত্র মোবাইল ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়ার কথা বলেন শিক্ষক। পরে সে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে মোবাইল ফেরত চাইলে টিফিনের সময় দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এ নিয়ে জনি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক তাকে থাপ্পড় দেন। জনিও প্রধান শিক্ষককে পাল্টা আঘাত করলে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জনিকে মারধর করে।”

অখিল চন্দ্র বলেন, “জনির বাবা হোসেন মিনা ও তার লোকজন বিষয়টি আগামী ২৪ আগস্ট মীমাংসা করে দেবেন বলে জানান। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ১১ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা স্কুলের যাওয়ার জন্য উলপুর বাসস্ট্যান্ডে এলে জনি ও তার বাবার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য রইচ মিনাসহ ১৪/১৫ জন লাঠি, রড, হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালায়।”

প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, “মোবাইল ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় জনি ও তার বাবার লোকজন ৯ শিক্ষক ও ২ শিক্ষিকাকে পিটিয়েছে। আমরা এ ঘটনার পর স্কুলে না গিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসি।”

এ ব্যাপারে উলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রইচ মিনা বলেন, “শিক্ষকদের উপর হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”

তবে মারপিটের সময় তিনি ছিলেন না দাবি করে বলেন, “আমি এলাকার মেম্বার ও ব্যবসা-বাণিজ্য করি। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।”

ওসি বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্তে ও দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”

এদিকে শিক্ষদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত