ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

২৯ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৩৬

ঝিনাইদহে প্রতারক চক্রের ফাঁদ, বিপাকে কৃষক

জমি চাষ করেছেন, ক্ষেতে ধান লাগিয়েছেন, যত্ন করে নিড়ানী-সার-ঔষধ দিয়েছেন, ক্ষেতের ধান পেকেও গিয়েছে, অথচ তা কাটতে দেয়া হচ্ছে না কৃষকদের। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সাইদুল ও তুহিন জোয়ার্দ্দারের ঘরে আমন মৌসুমে ঘরে উঠবে পাকা ধান, এই বাস্তবতা এখন দু:স্বপ্ন করে দিয়েছে এক প্রতারক চক্র। নানা ফাঁদ পেতে, জাল কাগজপত্র বানিয়ে এখন দাবি করা হচ্ছে- ক্ষেতের ধান তাদের পাওনা, জমি তাদের।

কৃষকদ্বয় আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত জমির স্থিতিশীল অবস্থা  জারি রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সাথে দ্বিতীয় পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন। ফলে মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঐ দুই কৃষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শৈলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামের মিস্ত্রি পাড়ায় কৃষক সাইদুল জোয়ার্দ্দার ও তার ভাই তুহিন জোয়ার্দ্দার তাদের পৈত্রিক প্রায় ১ একর ৫০ শতক জমির উপর এবার ধান, হলুদ ও মরিচ চাষ করেছেন। পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে গত ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে তারা এসব জমি ভোগ-দখল করছেন।

কিন্তু অতি সম্প্রতি উত্তর মির্জাপুর গ্রামের শওকত আলী শহিদ নামের এক ব্যক্তি সেই জমি নিজের দাবি করে আসছেন। অভিযোগ উঠেছে, ঐ কৃষকের মায়ের কাছ থেকে এক সময় ১৯ শতক জমি বন্দক নেন শওকত। পরে তিনি তা ক্রয় করেন। কিন্তু এখন সব সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করছেন। শওকতের সাথে আরো কিছু ব্যক্তি ঐ কৃষকদের পাকা ধান কাটতে দিচ্ছেন না। এসব ফসল জোর করে কেটে নেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।

কৃষক তুহিন জোয়ার্দ্দার জানান, অতীতে কোনো সময় তাদের জমি নিয়ে কেউ কোনো দাবি তুলেনি। এখন জোর করে এসব করছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে শওকতের সাথে তার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

কচুয়া তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জমি নিয়ে যাতে কোন সহিংসতা-সংঘর্ষ না হয়, সে জন্য আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে। পুলিশ কারো পক্ষ নেয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত