বেনাপোল প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২২:৫১

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের ধর্মঘট প্রত্যাহার

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবসায়ীদের সাথে বেনাপোল বন্দর ব্যবসায়ীদের চলমান সমস্যা নিরসন হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দু’দেশের বন্দর ব্যবহারকারী ট্রাক শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বেনাপোল বন্দরের পরিচালক ও বনগাঁর পৌর মেয়রের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় টানা ৪দিন চলমান ধর্মঘটটি প্রত্যাহার করা হয়। এতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চলতা ফিরে বন্দর এলাকায় এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে বলে জানালেন বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিএন্ডএফ ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

প্রায় ৪দিন চলমান ধর্মঘটটি প্রত্যাহার হওয়ায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাড়িয়ে থাকা আমদানি-রফতানীবাহী সহস্রাধিক পণ্য ট্রাক  গন্তব্যস্থানে ছুটতে শুরু করেছে। যার জট খুলতে দু’দিন লেগে যাবে বলে মন্তব্য করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও পচনশীল পণ্য নিয়ে টানা ৪দিন ধর্মঘটে আটকে থাকা ব্যবসায়ীরা আছেন লোকসানের আতঙ্কে। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন কয়েকজন আমদানিকারক।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বনগাঁর পৌর মেয়র ও স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী ট্রাক শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। এতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলছে।

বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সদস্যের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে গত শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘট ডাক দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেন। টানা ৪দিন ধর্মঘটটি চলমান থাকায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পড়ে মারাত্মক হুমকির মুখে। দুই পাশের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজারের বেশি পণ্য বোঝায় ট্রাক আটকা পড়ে। এতে বন্দর এলাকায় ব্যাপক পণ্যজটের সৃষ্টি হয়। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্যও রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে ইতিমধ্যে পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত