সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মে, ২০১৯ ১৫:২১

যশোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

যশোরে শার্শায় পঞ্চম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার মেয়ে বাগআঁচড়া সাতমাইল আলিম মহিলা মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তার মেয়েকে শিক্ষক কাছে নিয়ে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের লিখতে দিয়ে শিক্ষক শরিফুল তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এর আগেও মেয়েটিকে ওই শিক্ষক কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেন। মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। এরপর তার আচরণ এতটাই বেপরোয়া হয়ে যায় যে, বাধ্য হয়ে সে বিষয়টি বাড়িতে জানায়। এ ব্যাপারে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বিচারের আশ্বাস দিলেও গত চার দিনে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মাদরাসাছাত্রী জানায়, শরিফুল স্যার আমাকে মারার উদ্দেশ্যে কয়েকবার জামার পিছন দিয়ে গায়ে হাত দিয়েছে এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে। বিষয়টি মাদরাসার ম্যাডাম শাহনাজ দেখে আমাকে ডাকলে আমি সব ঘটনা তাকে খুলে বলি। আমাকে ওই স্যার অনেকবার জামার পিছন দিয়ে হাত দিয়েছে। আর উনি আমার সাথে যেভাবে কথা বলতো তাতে অনেকেই আমাকে ওই স্যারকে নিয়ে সন্দেহ করতো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, সামান্য একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি স্কুলে বসে মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন।

মাদরাসার প্রিন্সিপাল মহসিন হোসেন বলেন, এ ঘটনার দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটি নিয়েছে। কমিটি বসে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক শরিফুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

এ ঘটনা সম্পর্কে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বলেন, আমি প্রিন্সিপালের কাছে শুনেছি শরিফুল নামে এক শিক্ষক একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছেন। বিষয়টি তারা মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তবে এ ধরনের শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না থাকা ভালো।

মাদরাসার সভাপতি এয়াকুব বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তা, এলাকার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত