মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:২৪

বিদ্যায়-বিত্তে এগিয়ে রেজা কিবরিয়া

হবিগঞ্জ-১ আসন

হবিগঞ্জ-১ আসনের মনোয়ন জমা দিয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে অর্থবিত্ত ও লেখাপড়া- দুটোতেই এগিয়ে আছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া।

গণফোরাম থেকে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। যদিও গত রোববার বাছাইকালে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করের রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাতিল হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রেজা কিবরিয়া আপিল করলেও কেয়া চৌধুরী এখনও আপিল করেননি।

এই পাঁচ প্রার্থীর হলফনামা দেওয়া আর্থিক তথ্য তুলে ধরা হলো-

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী):  মিলাদ গাজীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার হাতে নগদ টাকা রয়েছে ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪শ’ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১শ’ টাকা জমা রয়েছে। তার লিমিটেড কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ টাকার শেয়ার রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম পাস।

গণফোরামের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া: ড. ফিল ডিগ্রীধারী অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়ার বার্ষিক  আয় ৯১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৫ টাকা। এরমধ্যে শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র থেকে আয় ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৫ টাকা ও পরামর্শক হিসেবে আয় ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকা। তাঁর নিজ নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা; বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭ লাখ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থানীয় আমানতে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা। রেজা কিবরিয়ার ১০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে।

রেজা কিবরিয়ার ৫ ভরি স্বর্ন, ঢাকার পূর্বাচলে দশ কাঠা জমি, ধানমন্ডিতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির বিনিময়ে ১৪টি ফ্ল্যাট, পৈতৃক সূত্রে গুলশানে একটি ফ্ল্যাট, নবীগঞ্জে যৌথ মালিকানায় দুই বিঘা জমি রয়েছে।

বিএনপি’র প্রার্থী শেখ সুজাত মিয়া: সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ৩৫ হাজার টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

তাঁর কাছে নগদ রয়েছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত ৪৪ হাজার ৯৬২ টাকা। ৬৬ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে শেখ সুজাতের।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী: মাস্টার্স ডিগ্রীধারী কেয়া চৌধুরীর কৃষিখাতে তাঁর বাৎসরিক আয় ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বাৎসরিক আয় ২ হাজার ৬২২ টাকা। চাকুরি থেকে পেয়েছেন ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা। তাঁর নিজের কাছে নগদ রয়েছে ৭৭ লাখ ৩ হাজার ৩৭৯ টাকা। আর স্বামীর নামে রয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ২৯৯ টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে নিজের নামে কিছু না থাকলেও স্বামীর নামে রয়েছে ৪২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। তাঁর নিজের ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রোজ প্র্যাডো টিএক্স রয়েছে। স্বামীর রয়েছে ১২ লাখ টাকার যানবাহন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু: হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু এইচএসসি পাস। তাঁরবাৎসরিক আয় কৃষিখাতে ৪৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে সম্মানী পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সাথে অন্যান্য ভাতাদি পেয়েছেন ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৫০৮ টাকা।

নিজের নামে তাঁর নগদ রয়েছে ১২ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫ লাখ টাকা। ৬০ লাখ টাকা মূল্যের একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রোজার রয়েছে তাঁরা। স্বর্ণ রয়েছে নিজের ৫ ভরি ও স্ত্রীর ১০ ভরি।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তাঁর নিজের নামে ৩ একর ও স্ত্রীর নামে ২.৩০ একর কৃষি জমি রয়েছে। অকৃষি জমি রয়েছে ২০ একর। ঢাকার পূর্বাচলে সরকারের দেয়া ৩ কাটার একটি প্লট রয়েছে তাঁর। এছাড়া ২টি দালানসহ ১২ শতকের পৈত্রিক বাড়ির ৭ ভাগের ১ ভাগ পান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত