নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:২৬

সুনামগঞ্জে ধনী মিজান, সম্পদহীন ওদুদ

সুনামগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫২ জন। তাদের মধ্যে সম্পদের দিক থেকে সবচেয়ে বিত্তশালী বিএনপির মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী। সবার চেয়ে দেনাও তার বেশি। আর সবচেয়ে কম সম্পদ ন্যাপের মো. আবদুল ওদুদের। তার আয় আছে সম্পদ নেই।

নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ সকল তথ্য জানা গেছে।

মিজানুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) বিএনপির প্রার্থী। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছেন। এর আগে তিনি ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

এ আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী হলেন সাবেক সাংসদ ও দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। তিনি একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

পেশায় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের হলফনামায় দেখা গেছে, তার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৭ টাকার। দুটি ব্যাংকে তাঁর দেনা আছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪১ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ২৯১ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে তিন লাখ, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও শেয়ারের লভ্যাংশ বাবদ ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ টাকা, ব্যাংক মুনাফা ৪৬ হাজার ৬৩৯ টাকা।

হলফনামায় মিজানের অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৬ হাজার ৫৭৩ টাকার। নগদ টাকা আছে ৮ লাখ ৩ হাজার ৯৬৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১২ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১০ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি, মোটরসাইকেল ইত্যাদি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতু বাবদ ৫০ হাজার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার, অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ আছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা।

মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ আছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫ হাজার ১০৪ টাকার। এর মধ্যে অকৃষিজমির মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৩ টাকা, বাণিজ্যিক ও আবাসিক দালান (অংশীদার ভিত্তিতে) ১৫ লাখ ১২ হাজার ৩০১ টাকা।

মিজানুর রহমানের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ আছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার ৫০৭ টাকার। তার বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১২ হাজার ৮৪৯ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও শেয়ারের লভ্যাংশ বাবদ ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৭২ টাকা, ব্যাংক মুনাফা ৬ হাজার ৫৭৭ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩২ লাখ ২ হাজার ৫২৪ টাকা। ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৩ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার ১ কোটি ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা, স্বর্ণ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।

আবদুল ওদুদ সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রার্থী। তার আয় আছে, তবে সম্পদ নেই বললেই চলে। ডেকোরেটরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে আছে মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা। স্থাবর কোনো সম্পদের কথা হলফনামায় উল্লেখ নেই।

হলফনামা অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পদ আবদুল ওদুদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত