সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৯

বিদ্রোহীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেখ হাসিনার অনুরোধ

ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের যারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজে নামার জন্য ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর দেওয়া একটি চিঠি রয়েছে।

চিঠিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিবেচনায় আছে।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা প্রার্থী হন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাঁরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হন।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের হিংস্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশকে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি, আগামী নির্বাচনে আপনার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আপনার সকল সাংগঠনিক দক্ষতা, শক্তি ও সামর্থ্য আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের একজন আদর্শবান, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক কর্মকাণ্ডে আপনার স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪ হাজারের মতো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও ৩০০টি আসনে আড়াইশ জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করছে আওয়ামী লীগ। ৫০টির মতো আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জোট শরিক বিভিন্ন দলকে। এরপরও একই আসনে যেমন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়ে গেছে, তেমনি জোট শরিক দলকে আসন ছেড়ে দিতেও নারাজ স্থানীয় অনেক নেতা।

তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এই চিঠি দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত