নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:০০

সিলেটের ১৯ আসনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে ১১০ প্রার্থী

সিলেটের ১৯টি আসনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামছেন ১১০ প্রার্থী। রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রত্যাহার শেষে ১১০ জন লড়াইয়ে টিকতে রয়েছেন। এরমধ্যে সিলেটের ৬ আসনে ৪০ জন, সুনামগঞ্জের ৫ আসনে ৩২ জন ও হবিগঞ্জের ৪টি আসনে ১৯ জন ও মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে আরও ১৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আজ (সোমবার) এই প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক পেয়ে আজকে থেকেই প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।

রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে সিলেট জেলার ৬টি আসনের ৫৭ প্রার্থীর মধ্যে ১৭ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এরমধ্যে ১২ জন নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, অপর পাঁচজনের মনোনয়নপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। ফলে লড়াইয়ে টিকে রইলেন ৪০ জন।

সিলেট-১ আসনে শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপির ইনাম আহমদ চৌধুরী বাদ পড়েছেন। ফলে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ প্রার্থী। এ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- ড. এ কে আব্দুল মোমেন (আওয়ামীলীগ), খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির (বিএনপি), উজ্জল রায় (বাসদ-মার্কসবাদী), প্রণব জ্যোতি পাল (বাসদ), রেদওয়ানুল হক (ইসলামী আন্দোলন), মোহাম্মদ ফয়জুল হক (ইসলামী ঐক্যজোট), ইউসুফ আহমদ (পিপুল পার্টি), মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (জাপা)।

সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন বিএনপির আবরার ইলিয়াস অর্ণব ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা কাজী আমিন উদ্দিন।

এ আসনে লড়াইয়ে টিকে রইলেন- তাহমিনা রুশদীর লুনা (বিএনপি), ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া (জাপা), মনোয়ার হোসেন (এনপিপি) মুনতাছির আলী (খেলাফত মজলিস), মো. মোশাহিদ খান (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট), মোকাব্বির খান (গণফোরামের)।

সিলেট-৩ আসনে বিএনপির এম এ হক, কাইয়ুম চৌধুরী ও আব্দুস সালাম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম প্রত্যাহার করেছেন।

নির্বাচনে অংশ নেবেন- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), শফি আহমদ চৌধুরী (বিএনপি), মাওলানা আতিকুল ইসলাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), দিলওয়ার হোসাইন (খেলাফত-মজলিস), এম এ মতিন চৌধুরী (জাপা) ও উসমান আলী (জাতীয় পার্টি)।

সিলেট-৪ আসনে বিএনপির সামসুজ্জামান জামান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আতাউর রহমান প্রত্যাহার করেছেন।

লড়াইয়ে আছেন- ইমরান আহমেদ (আওয়ামী লীগ), দিলদার হোসেন সেলিম (বিএনপি)সহ ৫ জন।

সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মামুনুর রশীদ ও জামায়াতের ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রত্যাহার করায় টিকে রইলেন-

হাফিজ আহমদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ), মাওলানা উবায়েদুল্লাহ ফারুক (ঐক্যফ্রন্ট), ফয়জুল মনিব চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মাওলানা নুরুল আমিন (ইসলামী আন্দোলন), সেলিম উদ্দিন (জাপা), অ্যাডভোকেট বাহার উদ্দিন আল রাজি (গণফোরাম)সহ ৮জন।

সিলেট-৬ আসনে বিএনপির হেলাল খান, জামায়াতের মাওলানা হাবিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আসআদ উদ্দিন আল মাহমুদ প্রত্যাহার করেছেন।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- নুরুল ইসলাম নাহিদ (আওয়ামী লীগ), ফয়সাল চৌধুরী (বিএনপি), শমসের মবিন চৌধুরী (বিকল্পধারা)সহ ৪জন।

মৌলভীবাজারের চারটি আসনে ৫জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া সহ প্রতিদন্ধিতায় থাকছেন মোট ১৯ জন প্রার্থী।

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) : বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য ও সরকার দলীয় হুইপ মোঃ শাহাব উদ্দিন, বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট থেকে আহমদ রিয়াজ এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) : বিএনপির নেতৃত্বাধিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধিন মহাজোট থেকে এম এম শাহীন ও বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন থেকে হাফিজ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট থেকে মৌলানা আসলাম হোসাইন, বাংলাদেশ ওয়াকারার্স পার্টি বামফন্ট থেকে প্রশান্ত দেব সানা, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) অ্যাডভোটে মাহবুবুল আলম শামীম।

মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) : জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের লুৎফুর রহমান কামালী, বাসদ থেকে অ্যাডভোকেট মোঃ মগনু মিয়া, ইসলামী আন্দোল বাংলাদেশ থেকে মোঃ আসলম।

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) : আওয়ামীলীগ থেকে সাবেক চীপ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ, বিএনপি থেকে মুজিবুর রহমান মুজিব, গনফোরাম থেকে অ্যাডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা সালাউদ্দিন।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে ৫ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনে চূড়ান্তভাবে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন ১৯ প্রার্থী। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া, বিএনপির শেখ সুজাত মিয়া, আওয়ামী লীগের প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক ও বাসদের চৌধুরী ফয়ছল শোয়েব।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুল মজিদ খান, বিএনপির ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাপার শংকর পাল, খেলাফত মজলিশের মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের এজে মাসউদ হাসান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আহমেদ রূপক।

হবিগঞ্জ-৩ (সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, বিএনপির জি কে গউছ, জাপার মো. আতিকুর রহমান আতিক, সিপিবির পীযুষ চক্রবর্তী ও ইসলামী আন্দোলনের মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল।

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়ছল ও খেলাফত মজলিশের আহমদ আব্দুল কাদের।

সুনামগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনে ৫২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ে ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ৪০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছিল। পরে আপিলে আরও চার জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়। তবে দলের প্রতীক না পাওয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীর প্রার্থীতা বালিত হয়। রোরবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ৯ প্রার্থী। এখন নির্বাচনে লড়বেন ৩২ জন প্রার্থী।

প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (আওয়ামী লীগ), নজির হোসেন (বিএনপি), মুফতি ফখর উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন), বদরুদ্দোজা সুজা (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) ও আমান উল্লাহ আমান (জাকের পার্টি)।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তা (আওয়ামী লীগ), নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি), নিরঞ্জন দাস খোকন (কমিউনিস্ট পার্টি), গোলজার আহমদ (গণতন্ত্রী পার্টি), মাও. আব্দুল হাই (ইসলামী আন্দোলন) ও মাহমুদ হাসান চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ)।

সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসনে এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ), শাহীনুর পাশা চৌধুরী (ঐক্যফ্রন্ট), মহিবুল হক আজাদ (ইসলামী আন্দোলন), মাহফুজুর রহমান খালেদ (এলডিপি), শাহ্জাহান চৌধুরী (জাকের পার্টি) ও সৈয়দ শাহ মুবশ্বির আলী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ),।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি), তানভীর আহমদ তাসলিম (ইসলামী আন্দোলন), মো. দিলোয়ার হোসেন (এনএনপি), মোহাম্মদ আজিজুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), আল হেলাল (বাংলাদেশ মুসলীম লীগ) ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র)।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ), মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি), নাজমুল হুদা হিমেল (জাতীয় পার্টি), আবদুল ওদুদ (ন্যাপ), আয়ুব করম আলী (গণফোরাম), মাওলানা হুসাইন আল হারুন (ইসলামী আন্দোলন), মাওলানা সফিক উদ্দিন (খেলাফত মজলিস) ও আশরাফ হোসেন (বিএনএফ)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত