মঙ্গলবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন ব্রিটিশ আইনজীবী জিওফ্রে রবার্টসন।
একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহনী ও তাদের এদশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধে নেমেছেন।
“মুক্তিযোদ্ধারাও ৩০ লাখ বিহারী ও পাকিস্তানপন্থীদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।”
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এর মধ্য দিয়ে তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামীর বিদেশি আইনজীবীদের মতো রবার্টসনও বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
যুদ্ধাপরাধে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগ আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে আসামিপক্ষের মতো প্রসিকিউশনেরও আপিলের সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী বা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে তিনি কাজ করছেন না বলেও দাবি করেছেন এই ব্রিটিশ আইনজীবী, যিনি জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহানের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মৃত্যুদণ্ডের আপত্তি জানিয়েছেন।
এর আগেও জামায়াত নেতাদের রায়ের আগে লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন জামায়াতের বিদেশি আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান।
আপনার মন্তব্য