মারূফ অমিত

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২০:০৫

গণজাগরণ মঞ্চের নাশকতা বিরোধী জাগরণযাত্রা ও প্রতিবাদী সমাবেশ(ভিডিও)

জাগরণ যাত্রা, সমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের ২য় বর্ষপূর্তি গণজাগরণ দিবস।

জাগরণ যাত্রা, সমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের ২য় বর্ষপূর্তি গণজাগরণ দিবস। রাজনীতির নামে চলমান সন্ত্রাস, নাশকতা ও মানুষ হত্যা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে এ বছর ‘গণজাগরণ দিবস’ পালিত হয়। ‘নাশকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে আয়োজিত নাশকতাবিরোধী সমাবেশ থেকে রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ, পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে হরতাল-অবরোধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

নাশকতাবিরোধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে আজ বিভিষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজনীতি নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দিয়ে ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে অর্থনীতিকে। এসব কর্মকান্ড কখনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী হতে পারে না।

বক্তারা বলেন, সরকারও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই পুড়ে মরছে মানুষ। লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাই জনগনকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবাদে সোচ্ছার হতে হবে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাধারন মানুষকে রাসতায় নেমে আসতে হবে। নতুবা এই বিভৎসতা থেকে রেহাই মিলবে না।

বক্তারা বলেন, ১৫ লাখ তরুণের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এসএসসি পরীক্ষার সময় অন্তত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করুন। গণতন্ত্রের নামে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে না।

বক্তারা বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করায় তারা আজ খুনে রুপ ধারণ করেছে।দেশজুড়ে নাশকতা চালাচ্ছে। বক্তারা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।

সমাবেশের আগে এরআগে বেলা সাড়ে ৩ টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ প্রজন্ম চত্বর জাতীয় সঙ্গীতর মাধ্যমে জাগরণ দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। বিকেল ৪ টায় শুরু হয় নাশকতা বিরোধী জাগরণ যাত্রা। নাশকতা বন্ধ, পেট্রোল বোমার রাজনীতি রুখে দাঁড়ানো, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নের দাবি সম্পন্ন প্ল্যা-কার্ড ও শ্লোগান নিয়ে প্রজন্ম চত্বর থেকে শুরু হওয়া জাগরণ যাত্রা বন্দরবাজারস্থ হকার পয়েন্ট ঘুরে আবার প্রজন্ম চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন রানা, পরিবেশ কর্মী আবদুল করিম কীম, আশরাফুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম জিলানী শুভ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, একুশ তাপাদার, দেবব্রত চৌধুরী, পাপলু বাঙালি, মারূফ অমিত, রেদোয়ান আহমদ, রোকন উদ্দিন, অদিত, উজ্জ্বল রায়, রিপন চৌধুরী, আব্দুল বাতিন , শোভন শুভ প্রমুখ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আরশ আলী, কবি একে শেরাম, নাট্য ব্যক্তিত্ব মুনির হেলাল, নিরঞ্জন দে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল খালিক, সাংবাদিক আল আজাদ, সচেতন নাগরিক কমিটি, সিলেটের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান আতা, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি অনুপ কুমার দেব, সহ-সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, সাংবাদিক অপূর্ব শর্মা, আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল । এছাড়া গণসংগীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী ও নগরনাট।

 

 

ভিডিও : নাশকতা বিরুদ্ধে জাগরণযাত্রা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত