সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল হুফুফ শহরে ঘরের সিলিন্ডার ছিদ্র হয়ে নির্গত গ্যাসে আগুন লেগে জীবন নামে এক বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্য হয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫ জন বাংলাদেশি। নিহত জীবন কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার চিতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার বরাত দিয়ে জানায়, গতকাল বুধবার স্থানীয় কিং ফাহাদ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিংসাধীন অবস্থায় জীবন মারা যান। আল হুফুফ শহরের একটি বাসায় গত ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে, আল হুফুফ শহরে সেই ঘটস্থলে দূতাবাসের একজন আইন সহকারী সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি সিলিন্ডারের মুখে জোরে আঘাত করলে সিলিন্ডারের মুখ ফেটে যায়। এতে করে ঘরের সব জায়গায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অজ্ঞতাবশত ওই ঘরের মধ্যে জীবন সিগারেট ধরার জন্য লাইটার জ্বালালে সারা ঘর আগুন ধরে যায়। এসময় জীবনসহ ঘরে থাকা আরো ছয় বাংলাদেশি গুরুতর দগ্ধ হন।

তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সিভিল ডিফেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় কিং ফাহাদ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিংসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার জীবন মারা যান। বাকিদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে জীবনের মৃতদেহ পুলিশ রিপোর্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার পর মৃতের পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষে সৌদি আরবে দাফন অথবা বাংলাদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হবে।

দগ্ধ বাকি পাঁচজন হলেন : কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা কুদ্দুস, বাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগন থানার বাসিন্দা জাকারিয়া, কুমিল্লার মুরাদ নগর থানার বাসিন্দা আব্দুল বারেক, নরসিংদীর মনোহরদী থানার হোসেনদি গ্রামের বাসিন্দা বাসু উদ্দিনের ছেলে জামাল এবং বকুল। তবে বকুলের এখনো পর্যন্ত কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।