নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ১৫:০৩

বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে গেলে সবার জন্য বিপদ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ দেশ আফগানিস্তান হয়ে গেলে সবার জন্য বিপদ। তাই আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবেলা করে মৌলবাদি শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিতে হবে।

শনিবার রাতে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় এমনটি বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিষয়ে এই সভার আয়োজন করে 'প্রবাসী হিন্দু কমিঊনিটি' নামের একটি সংগঠন।

সভায় বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় অন্তত ৮০ জন অংশ নেন। এতে প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়, আলাদা আসনে নির্বাচন ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান। এছাড়া মন্দির, মুর্তি, ভাঙচুর প্রতিরোধ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো আমি শোনলাম। তবে সবগুলো বিষয়ে আমি এই মূহূর্তে কোন মন্তব্য করতে অপরাগ। তবে আমনাদের দাবিগুলো আমি প্রধান মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবো।

বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তি যাতে মা্থাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এবং সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান ও অধিকার নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।

ভার্চুয়াল সভায় প্রয়াত মেজর জেনারেল বীর উত্তম সি আর দত্তের মেয়ে মহুয়া দত্ত বলেন, আমার বাবা রাস্ট্র ধর্ম আনার জন্য যুদ্ধ করেন নি। একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।

তিনি অবিলম্বে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানান।

ড. দ্বীজেন ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে দেশের ৬৪ জেলায় হিন্দু প্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আলাদা নির্বাচন ও সংরক্ষিত আসন থেকে ২০% আসন বরাদ্ধ রাখার দাবি জানান।

প্রবীর রায় বলেন, অবিলম্বে হিন্দুদের উপর থেকে ডিজিটাল আইনে করা মামলা গুলি প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় করার দাবি করেন।

ওয়াশিংটনের কমিউনিটি নেতা শুভ রায় বলেন, সংখ্যালঘু সমস্যা সমাধানে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে।


এই ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সরকার, প্রবীর রায়, প্রিয়তোষ দে, শীতাংশু গুহ, সমীর সরকার, জগদীন্দ্র চৌধুরী শিবু, শুভ রায়, ঝলক রায়, সুশীল সিংহা, ভবতোষ মিত্র, প্রানেশ হালদার, অরুন দত্ত, নিত্যানন্দ দাস, নবেন্দু দত্ত, রুপ কুমার ভৌমিক, ডা. সমীরণ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক রুমা সরকার, ক্রিস কৃষ্ণ, অধ্যাপক চন্দন সরকার, প্রদীপ চন্দ্র, প্রদীপ মালাকার, নিরঞ্জন সরকার, নির্মলেন্দু রায়, নিরঞ্জন রায়, তুহিন পাল, শরনাঙ্ক মহাথেরো, উপেন্দ্রনাথ রায়, রজত বাবু, অলক চৌধুরী, অমরেন্দ্র রায়, অর্ঘ বাবু, কিরিট সিংহ রায় প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত