সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, সিবিএনএ টরেন্টো থেকে

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৯:৪৮

যুদ্ধাপরাধী আলী ইমামের বিরুদ্ধে কানাডায় গ্রেফতারি পরোয়ানা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী এখন কানাডাতেও আত্মগোপন করে আছে। সেই অভিযুক্তে বাংলাদেশি আলী ইমামকে কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি (সিবিএসএ) তাদের চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
 
দৈনিক ন্যাশনাল পোস্ট থেকে জানা যায়, কানাডায় বসবাসরত পাঁচ বিদেশি যুদ্ধাপরাধী এবং বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত করেছে সিবিএসএ। আলী ইমাম ছাড়া আর বাকি ৪জন জ্যামাইকার নাগরিক ডারব্যান্ট ডেভ জ্যাক ও ডোনোভান সিনক্লেয়ার, ইকুয়েডরের মার্কোস ইয়ামিল ডি মোলিনা ও আজারবাইজানের ফরিদ ইউসুপোভ।
 
৫৯ বছরের আলী ইমাম কানাডা পালিয়ে এসে মন্ট্রিয়লে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। বিভিন্ন নামে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন তিনি। যেমন- ইমাম এ হোসাইন, আলী মোহাম্মদ ইমাম প্রভৃতি। বর্ডার সার্ভিসের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে আলী ইমাম আত্মগোপন করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কানাডা জুড়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এখন আরসিএমপি তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
 
কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ২০১২ সালের জুলাই মাসে তাদের ওয়েবসাইটে চিহ্নিত অপরাধীদের যে তালিকা প্রকাশ করে, সেই তালিকা অনুযায়ি কানাডার ফেডারেল ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি ২৭ জন বিদেশিকে চিহ্নিত করে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে এরই মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আলী ইমামসহ অন্যদের ঘোষিত ঠিকানায় খুঁজে না পাওয়ায় নতুন করে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
 
উল্লেখ্য, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীর অপরাধে অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত চৌধুরী মঈনুদ্দিন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত আশরাফুজ্জামান খান এবং সুইডেনে পলাতক ফরিদপুরের নগরকান্দার রাজাকার কমান্ডার জাহিদ হোসেন খোকন বিরুদ্ধে মামলায় রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত