ডেস্ক রিপোর্ট

০৯ মে, ২০১৫ ০২:৪০

কলকাতার ‘এই সময়’ পাকিস্তানিদের বাঙালি বানিয়ে দিলো!

কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা ‘এই সময়’ তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর জায়গায় দুই পাকিস্তানির নাম যুক্ত করে তাদের বললো বাঙালি আর সে তালিকা থেকে বাদ দিলো টিউলিপ সিদ্দিক আর রূপা আশা হককে।

দুই পাকিস্তানিকে বাংলাদেশি বাঙালি বানিয়ে ভুল করে রিপোর্ট প্রকাশ করল কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা ‘এই সময়’। পত্রিকাটি লিখেছে, 'ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য জয় পেলেন তিন বঙ্গললনা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তিন নির্বাচিত প্রার্থী যথাক্রমে লেবার পার্টির রওশনারা আলি, শাবানা মাহমুদ ও ইয়াসমিন কুরেশি। তাঁদের জয়ে গর্বিত তামাম বাঙালি।'

‘এই সময়’ যখন পাকিস্তানিদের বাঙালি ললনা বানিয়ে রিপোর্ট করল তখন সেখান থেকে দুই বাংলাদেশি বাঙালিকে ঠিকই বাদ দিয়ে দিলো। অথচ বাদ পড়া দুই জন এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সংসদ সদস্য। তাদের একজন হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক এবং অপরজন নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময়ে ক্ষমতাসীন মেয়র কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়া রূপা আশা হক।

কলকাতার এ পত্রিকাটি লিখেছে, 'ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য জয় পেলেন তিন বঙ্গললনা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তিন নির্বাচিত প্রার্থী যথাক্রমে লেবার পার্টির রওশনারা আলি, শাবানা মাহমুদ ও ইয়াসমিন কুরেশি। তাঁদের জয়ে গর্বিত তামাম বাঙালি।' খবরের লিংক।

'এই সময়' দুই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপিকে বাঙালি বলে ভুল করেছে। শাবানা মাহমুদ লেবার দল থেকে বার্মিংহাম, লেডিউডের এমপি হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তার শেকড় কাশ্মীরের মিরপুরে। আর ইয়াসমিন কুরেশির শেকড় পাকিস্তানের গুজরাট সিটিতে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন লেবার দল থেকে। আসন বলটন সাউথ ইস্ট।

এই সময় আরও লিখেছে, 'সাধারণ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু আফ্রিকীয় ও এশীয় বংশোদ্ভূত রয়েছেন। এই ভিড়ে উজ্জ্বল তিন বাঙালি নারী। লেবার পার্টির সদস্য রওশনারা আলি বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো কেন্দ্র থেকে পুনর্নিবাচিত হয়েছেন। নিজ কেন্দ্রের ভোটারদের চোথে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্রী তিনি। গোটা মেয়াদ জুড়ে এলাকার মানুষের জন্য তাঁর কাজ নির্বাচনে ফলদায়ী হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ক্যাবিনেটে তিনিই প্রথম বাঙালি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।'

পত্রিকাটি আরও লিখেছে, 'বার্মিংহামের লেডিউড থেকে জয়ী লেবার পার্টি প্রার্থী শাবানা মাহমুদের জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে প্রশ্নাতীত। এই কেন্দ্রে তাঁর আগে জয়ী হয়েছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ক্লেয়ার শর্ট। অন্যদিকে, লেবার পার্টি প্রার্থী ইয়াসমিন কুরেশি দলের বর্ষীয়ান নেতা ব্রায়ান ইডনের পর বোল্টন সাউথ-ইস্ট কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। শাবানা ও ইয়াসমিন দু'জনেই ৮০০০ ভোটের বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মোট ২৭ জন আফ্রিকীয় এবং এশীয় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ১৪। হাউস অফ কমনস-এর মোট সদস্য সংখ্যার ৪.২ শতাংশ জুড়ে রয়েছেন তাঁরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত