০৮ মার্চ, ২০২০ ১৩:৪৫
শুরু হয়েছিল মাস্ক দিয়ে। করোনাভাইরাস ব্রিটেনে আসার আগেই সুপার শপ ও ফার্মেসিগুলো মাস্ক শূন্য হয়ে গিয়েছিল। মাস্কের পরপর সেই চাপ পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে (জীবানুনাশক জেল)। বাজারে স্যানিটাইজার সংকট দেখা দেয়।
সুপার ড্রাগের এক বিক্রয় কর্মী জানান, স্যানিটাইজার এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল হ্যান্ডওয়াশ তারা ক্রেতাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে পারছেন না। জনপ্রতি দুইটার বেশী কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে এইভাবে দেওয়ার পরে ও প্রতিদিনই কয়েক ঘন্টা পরেই খালি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দিন দিন সেই প্রবণতা বেড়েই চলছে।
সারা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও ব্রিটেনে আজকে পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬ জন। এই পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে দুইজনের।
সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এবং করোনা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে গণপরিবহনেও ভিড় কম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
লোকজন করোনা আতঙ্কে খাবার মজুদ করছেন বলে প্রচারণা চলছিলো কয়েকদিন ধরেই। সেই প্রচারণা সত্যি সত্যি প্রভাব ফেলেছে সুপার শপগুলোতে। টয়লেট্রিজ সামগ্রীর থাকগুলো খাঁ খাঁ করছে। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও শুকনো খাবারের থাকগুলোও শূন্য। বিশেষ করে ডিম, টিনজাত খাবার, চিপস, মটরশুটি, প্রক্রিয়াজাত ভুট্টা, বোতলজাত পানি, সব ধরণের টিস্যুপেপার, হ্যান্ডওয়াশ, ওয়াশিং আপ লিকুইডের থাকগুলো খাঁ খাঁ করছে। যে দৃশ্যের সাথে ব্রিটেনের মানুষ পরিচিত নয়।
সরেজমিনে আসদা, লিডিল, সুপার ড্রাগসহ বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়।
বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথেও কথা হয়। তারা বলেন, লোকজন পাগল হয়ে গেছে!
আপনার মন্তব্য