নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ২০:৫৪

বেঙ্গল সাংস্কৃতিক উৎসবের রেজিস্টেশনের সুবিধার্থে নগরীতে ৭টি বুথ

সিলেটে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে সিলেটের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৭টি বুথ খোলা হয়েছে। এসব বুথ থেকে আগ্রহী দর্শনার্থীরা অনলাইনে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পানসি রেস্টুরেন্ট, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, হান্ডি রেস্টুরেন্ট, মুরারিচাঁদ কলেজ, ও সুরমা রিভার ক্রুজে এই বুথগুলো চালু করা হয়েছে।

এছাড়া বেঙ্গলের একটি বিশেষ বাস এই উৎসব উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে রেজিস্ট্রেশন করছে।
   
এছাড়া  www.bengalculturalfest.com থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে অথবা মোবাইল থেকে Bengal লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে এসএমএস করেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দশ দিনব্যাপী এই সাংস্কৃতিক উৎসবের অনুষ্ঠিত করেছে।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, উৎসবে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, খায়রুল আনাম শাকিল, অদিতি মহসিন, চন্দনা মজুমদার, জলের গান, কুদ্দুস বয়াতীসহ বাংলাদেশের ৩৮৩ জন সংগীতশিল্পী-নৃত্যশিল্পী-চিত্রকর-নাট্যকুশলী-লেখক-কবি অংশগ্রহণ করবেন। সংগীত পরিবেশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতীয় শিল্পী হৈমন্তী শুকলা, শ্রীকান্ত আচার্য্য, মনোময় ভট্টাচার্য্য, জয়তী চক্রবর্তী ও পার্বতী বাউলকে। বিশিষ্ট চিত্রকর রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, শহিদ কবির, রোকেয়া সুলতানা, জামাল আহমেদ, শিশির ভট্টাচার্য্য, তৈয়বা লিপিসহ ২৭ জন শিল্পী উৎসব চলাকালীন ‘সুবীর চৌধুরী আর্ট ক্যাম্পে’ অংশগ্রহণ করবেন। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, শাহীন আখতার ও হরিশংকর জলদাস, প্রাবন্ধিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সনৎকুমার সাহা, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও শামসুজ্জামান খান, কবি কায়সার হক, আনিসুল হক, রুবি রহমান, রবিউল হুসাইন, তারেক সুজাতসহ বাংলাদেশের মোট ৫০ জন কবি ও লেখক কালি ও কলম সাহিত্যসভায় অংশ নেবেন। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার, প্রথিতযশা মঞ্চ-অভিনেতা ও নির্দেশক শাঁওলি মিত্রসহ ভারতের ২৩ জন প্রাবন্ধিক, কবি ও সাহিত্যিক এবং নেপালের ২ জন বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যসভায় যোগ দেবেন।

উৎসবে বাংলাদেশের ১০টি জেলার কারুশিল্প নিয়ে থাকবে কারুমেলা। চলচ্চিত্র উৎসবে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘মেঘমল্লার’, মোরশেদুল ইসলামের ‘অনিল বাগচীর একদিন’, তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’, ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, নাসিরুদ্দীন ইউসুফের ‘গেরিলা’, রুবাইয়াৎ হোসেনের ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ও ছোটদের ছবিসহ মোট ১৪টি ছায়াছবি নিয়মিতভাবে প্রদর্শিত হবে। চারটি নন্দিত মঞ্চনাটক - সুবচনের ‘মহাজনের নাও’, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমেনা সুন্দরী’, লোকনাট্যদলের ‘কঞ্জুস’ এবং মণিপুরী থিয়েটারের ‘কহে বীরাঙ্গনা’ উৎসবে মঞ্চস্থ হবে। উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থাপিত হবে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। থাকবে বইমেলা। সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী ঝুমুর, ধামাইল, সুফি ও সাধনসংগীত, চা জনগোষ্ঠি, মণিপুরী ইত্যাদি আঞ্চলিক গান ও নাচ উৎসবের বিভিন্ন দিন মঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।

সিলেটের ঐতিহ্য ও উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে থাকবে স্থিরচিত্র প্রক্ষেপণ (ডিজিটাল ডিসপ্লে)। সিলেট শহরকে আরো পরিবেশ ও মানববান্ধব করার বিভিন্ন প্রয়াস ও চিন্তা সমন্বয় করে উপস্থাপন করা হবে স্থাপত্যবিষয়ক প্রদর্শনী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত