নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ মার্চ, ২০১৭ ০২:৫২

সিলেটের দর্শকে মুগ্ধ শ্রীকান্তসহ সকল শিল্পী

শ্রীকান্ত বললেন, এর আগে এতো বেশি মানুষের সামনে আমি গান গাইনি। আমি ধন্য, আমি কৃতজ্ঞ।

শামা রহমান বললেন, সিলেটের দর্শকরা খুব ভালো। এতো ভালো দর্শক আমি দেখিনি।

বেঙ্গল সাংস্কৃতিক উৎসবের মঙ্গলবার শিল্পীরা এমন প্রশংসায় ভাসালেন সিলেটের দর্শকদের।

এই উৎসবে এরআগে সিলেটের কয়েকজন দর্শকের আচরণের কারণে বেশ সমালোচনা হয়েছে। এমনকি কয়েকজন দর্শকের আচরণে ক্ষোভ সামলাতে পারেননি এই উৎসবের আয়োজক সংগঠন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুও। এ নিয়ে তুলকালাম ঘটে গেছে।

অথচ মঙ্গলবার সিলেটের দর্শকরাই মুগ্ধ করলেন সকল শিল্পীদের।

শ্রীকান্ত আচার্য মঞ্চে উঠার আগে উপস্থাপক জানালেন, অনুষ্ঠানস্থলে সমবেত রয়েছেন ২৫ হাজার দর্শক।

এই দর্শকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী। মধ্যরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তারা।  

মঙ্গলবারের আয়োজনে বাঁশিবাদন করেন মো. মনিরুজ্জামান, ভজন ও কীর্তন পরিবেশন করবেন সাথি ইসলাম ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি,  বীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন শামা রহমান এবং সবশেষে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গান পরিবেশন করেন ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য।

অনুষ্ঠানস্থল আবুল মাল আবদুল মুহিত কমপ্লেক্সের পুরোটাই ভরে গিয়েছিলো দর্শক উপস্থিতিতে। যতজন বসেছিলেন তাদের চেয়ে বেশি দর্শক দাঁড়িয়েছিলেন। তবু তারা শিল্পীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে উপভোগ করছেন অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ, পঞ্চকবির গান, বাঁশি, আধুনিক গান- সবসময়ই প্রাণবন্ত ছিলেন দর্শকরা। সকল শিল্পীকে উৎসাহ দিয়েছেন করতালির মাধ্যমে, প্রতিটি গানের শেষে।

মঙ্গলবারই সিলেটে প্রথমবারের মতো গাইতে এসেছিলেন কলকাতার বিখ্যাত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। গানের শুরুতেই শ্রীকান্ত দর্শকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি ধন্য, আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের ইর্ষা করি। আপনারা সবাই একই ভাষায় কথা বলেন। আমাদের দেশে অনেক ভাষা। কলকতারার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা হয়তো জানেই না, এই বাংলাভাষার অধিকার আদায়ে অনেক মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, নগরীর আবুল মাল আবদুল মহিত কমপ্লেক্সে চলমান দশদিন ব্যাপী বেঙ্গল সাংস্কৃতিক উৎসব শেষ হবে ৩ মার্চ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত