১৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:৫৮
বাংলার প্রকৃতিতে শরতের স্নিগ্ধ পরশ লেগেছে। তবে মেঘমুক্ত আকাশের দেখা এখনো পাইনি আমরা। বর্ষপুঞ্জিকার পৃষ্ঠা উল্টে ভাদ্রকে বরণ করলেও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি রয়ে যাওয়ার মানে শ্রাবণকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাতেই হবে। তাই তো নাচে-গানে বর্ষার বিদায় আর শরতকে স্বাগত জানাতে রবিরশ্মি, মৌলভীবাজার এর আয়োজন “শ্রাবণধারা” ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা পরও যখন শ্রাবণধারায় বৃষ্টি পড়ছিল আকাশ চুয়ে তখন শহরের সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। ষড়ঋতুর অন্যতম সৌন্দর্য্য মণ্ডিত, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর বর্ষা ঋতুর বিদায়ে বর্ষার গান কবিতা ও নৃত্যে মুগ্ধ হন আগত দর্শকরা। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল মনিপুরী রাস নৃত্য।
এর আগে সন্ধ্যায় পৌর মেয়র ফজলুর রহমান ও নাট্যকার আব্দুল মতিনের সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
মনোমুগ্ধকর নৃত্য, গান আর বর্ষাবন্দনার সুমধুর আবৃত্তি পরিবেশনে বাইরের ঝিরি বৃষ্টির আবহেও উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে শত শত দর্শক শ্রোতার মাঝে। একে একে স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ পরিবেশনার পর মঞ্চে আসেন সংগীত শিল্পী পান্না দে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মানুষটিকে সামনে থেকে শুনতে পারার আনন্দে সবাই নড়েচড়ে বসেন। ‘এই স্বর্ণালী সন্ধ্যা’র সুরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে দর্শক-স্রোতাদের মাঝে।
তার আগেই মমিতা সিনহা, ডোরা প্রেন্ট্রিস, মৃত্তিকা সিনহা মিতু, সঞ্চিতা সিনহা, পার্থ সারথি কর, প্রত্যুষ তালুকদার, রোহিত রায়, ঈশিতা রায়, সুস্মিতা সিনহা,স্বর্ণা চন্দ, প্রিয়তা চৌধুরী মনি, প্রজ্ঞা লাবনী দে, সঞ্জিত সিংহ ধ্রুব, রনজিৎ দত্ত জনির সুরে সবাই মেতে ছিলেন।
নেপাল ভাস্কর, হাসান আহমদ , পিন্টু দেব,মো কুতুবউদ্দিন, রনি সিংহ’র যাদুকরী বাদ্যযন্ত্রের তালে যেমন গান জমেছিল তেমনি নৃত্যও। প্রাপ্ত প্রীতম, দেবযানী রায়, অভিজিৎ কুণ্ডু কর্মকার, লাভলী সিনহা, প্লবতা ভৌমিক ও কাব্য রায়ের নৃত্য ছিল নয়ন কাড়া। কারণ তাদের নৃত্যের প্রধান আকর্ষণ ছিল মনিপুরী রাস নৃত্য।
আপনার মন্তব্য