শাবি প্রতিনিধি

২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:১০

শাবিতে তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি, পরিবহন বন্ধ

প্রথম বর্ষের আন্ত: ব্যাচ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং আইপিউ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহত চার জনের মধ্যে একজনকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরিফ নামের এক শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে এ মারামারি বাধে। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রক্টর ও আইপিই বিভাগের শিক্ষক জাহিদ হাসানের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে এবং মোটর সাইকেল ধরে টানাটানি করে।

পরবর্তীতে, মারামারিতে আহত আইপিই বিভাগের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আরিফ, রাদিন, রায়হান মুসা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের উপর নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরিফুল ইসলাম রনি (মাস্টার্স), শাহ আলম (৩/১), লিমন (৩/১), ফাইজ অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষ, আরিফ ইংরেজি (২/১) ও মাহবুর লোক প্রশাসন (১/২) হামলা করে বলে অভিযোগ করে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা হামলার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানায়।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, আইপিই বিভাগের খেলোয়াড়দের উগ্র আচরনের ফলে ঘটনার সূত্রপাত। শনিবারও তাদের উগ্র আচরণের জন্য ৩০০টাকা জরিমানা করা হয়। গত তিন বছর আগেও এরকম একটা ঘটনার জন্য খেলা বন্ধ হয়।

এদিকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের দুই শিক্ষককে লাঞ্চনা করা হয়ে বলে দাবি করে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মুনজুরুল হায়দার জানান, আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি। তবে ঘটনার জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যায় না।

ঘটনাস্থলে থাকা শাবি প্রক্টর অধ্যাপক কামারুজ্জামান চৌধুরী এ ঘটনার ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাসহ ক্যাম্পাসের বাড়তি নিরাপত্তায় প্রক্টরীয়াল কমিটি তৎপর আছে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, এখন পরিবেশ স্বাভাবিক। পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত