সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:১০

সম্ভাবনার দ্বার খুলবে বায়োটেকনোলজি: শিক্ষক সংবর্ধনায় সিকৃবি ভিসি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম হয়েছিলেন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের তাসানা শাহরিন হোসেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোর মধ্যে তার প্রথম পছন্দ ছিল (ফার্স্ট চয়েস সাবজেক্ট) সদ্য চালু হওয়া বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ । তাসানার মতো এরকম অনেক মেধাবী মুখ নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করেছিল নতুন অনুষদ বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ । শিক্ষক সংকটে ভোগার পর গত পহেলা ডিসেম্বর এ অনুষদে নতুন ছয়জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হলো। নতুন শিক্ষকদের পেয়ে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুললো বলে মন্তব্য করেছেন সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম শাহী আলম। বৃহস্পতিবার অনুষদের  গ্যালারি রুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেয় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি কিংবা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আলাদা আলাদা করে পড়ানো হয় অথবা একসঙ্গেই কোর্স হিসেবে পড়ানো হয় । একমাত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথমবারের মতো বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পূর্নাঙ্গ অনুষদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো । ষষ্ঠ অনুষদ হিসেবে এ অনুষদ চালুর পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি পূর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিতি পায়।

নতুন এই অনুষদে প্রথম ব্যাচে মাত্র ৩৮জন তরুণপ্রাণ শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে আরো একটি ব্যাচ যুক্ত হয়েছে। বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে মোট ৬টি নিজস্ব ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে । এগুলো হলো: ১. মলিকুলার বায়োলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ২. প্ল্যান্ট এন্ড এনভায়রনমেন্টাল বায়োটেকনোলজি, ৩. এনিম্যাল এন্ড ফিশ বায়োটেকনোলজি, ৪. ফার্মাসিউটিক্যালস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজি ৫. মাইক্রোবিয়াল বায়োটেকনোলজি এবং ৬. বায়োকেমিস্ট্রি ও কেমিস্ট্রি। চার বছর মেয়াদি এ অনার্স কোর্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট সহায়ক হিসেবে পাঠদান করবে । প্রথম ব্যাচটি বেরিয়ে পড়ার আগেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স কোর্স চালুরও একটি সুপারিশ রয়েছে বলে জানা যায় ।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ: গোলাম শাহি আলম নতুন এ অনুষদটির ডিন হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন । তিনি খুব উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন- “এ অনুষদটি বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিল । বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারি রিসোর্স ফার্ম হাউজ, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে এর অনেক চাহিদা । বাংলাদেশে ফল ফসল শাকসবজির নতুন জাত উদ্ভাবন, সংরক্ষণ ও উচ্চতর গবেষণার জন্য বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনে-টিক ইঞ্জিনিয়ারদের বিকল্প নেই । দেশের বাইরে এ অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের হট কেকের মতোই লুফে নেবে বলে আমি মনে করি ।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত