শাবি প্রতিনিধি

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৩:১২

শাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সকাল ৭.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবস পালন শুরু করে। পরে সকাল ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক আমিনূল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, আজকের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয় যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিদের লক্ষ্য ছিল এ জাতিকে মেধাশূন্য করা। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তারা আমাদের স্বপ্নযাত্রা স্তব্ধ করতে পারেনি। বরং আমরা এখন তাদের থেকে অনেক অগ্রসর।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এদেশের দোসরদের সহায়তায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। দীর্ঘদিন এ হত্যাকান্ডের বিচার না হলেও বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার ফলেই আজ অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। বাকীদেরও বিচার হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার বলেন, ইতিহাস সবসময় সোজা পথে চলে না। অনেক বাঁক পেরিয়ে সে তার আপন গন্তব্য পানে ছুটে চলে। বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য। এদেশে অনেকেই ঘটনাচক্রে মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে তারা পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছে। তবে বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুক্তিযোদ্ধা। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে কিংবা মনেপ্রাণে এদেশের স্বাধীনতার চেয়েছে।

বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ সৌভাগ্যবান। কারণ একজন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে দেশের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনতে পেরেছি যা আমাদের জানা ছিলো না।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। শহীদ মিনারের পাদদেশে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মো. আখাতারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টচার্য এবং সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল ভূইয়া।

আলোচনা সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, প্রফেসর আমিনা পারভীন, প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান এবং বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আ.ফ.ম. মিফতাউল হক প্রমুখ।

এছাড়াও আজ সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা৭১’ এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করবে প্রশাসন। প্রশাসন ছাড়াও সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শিক্ষক সমিতি, শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন,শাবি প্রেসক্লাব, বিভিন্ন বিভাগ, ছাত্রলীগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাতীয় ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত