সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০২৩ ১১:৩৫

শাবির ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাবে অগ্নিকাণ্ড

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) মধ্যরাতে শিক্ষাভবন ‘এ’ এর নিচতলার ১২৭ নম্বর কক্ষের ‘নন লিনিয়ার অপটিক্স’ ল্যাবে আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১৭ মে) সকালে সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আগুন রাতেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি ঝুঁকিমুক্ত। পরবর্তীতে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষনিক কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুই কক্ষের ল্যাবটির সামনের কক্ষে কয়েকটি কম্পিউটারের ডেস্ক রয়েছে। পেছনের কক্ষে ক্যান্সার ডিটেকশনের যন্ত্রপাতি দেখা যায়। অগ্নিকাণ্ডে সামনের কক্ষের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অর্ধেক পুড়ে গেছে। একটি বৈদ্যুতিক বাতি ও কয়েকটি তার পুড়েছে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাহ আলম জানান,  ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইয়সামিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক কম খরচে এবং শরীরে কোনো ধরনের যন্ত্রাংশ ব্যবহার ছাড়াই খুব সহজেই ক্যান্সার শনাক্তকরণ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন।

তখন থেকেই এই ননলিনিয়ার অপটিকস ল্যাবটি ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে ল্যাবটি ব্যবহার করছেন বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে তারা কয়েকজন গোলচত্বরের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে ভবনের ওই ল্যাবের জানালার দিকে আগুন দেখতে পান। এ সময় ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদেরকে অবগত করলে তারা জানালার কাচ ভেঙে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

তবে ল্যাবের দরজায় ডিজিটাল লক থাকায় তারা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। খবর পেয়ে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল এসে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এদিকে নিরাপত্তাকর্মীদের ধারণা, রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি (এসি) চালু ছিল। এ সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত