সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুন, ২০২৩ ২২:৩৯

গবেষণাকে অন্তহীন সম্ভাবনার প্রবেশদ্বার হিসেবে দেখা উচিত: প্রফেসর কায়কোবাদ

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সদস্য এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খ্যাতিমান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেছেন, “উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে সর্বাগ্রে কৌতূহল এবং অন্বেষণের জন্য একটি আবেগকে উৎসাহিত করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য। আমাদের ছাত্রদের অবশ্যই স্থিতাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করতে, বিদ্যমান জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং জটিল সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে উৎসাহিত করতে হবে। গবেষণাকে অন্তহীন সম্ভাবনার প্রবেশদ্বার হিসেবে দেখা উচিত, যেখানে প্রতিটি অনুসন্ধান, যতই ছোটো হোক না কেন, জ্ঞানের বৃহত্তর অংশে অবদান রাখতে পারে। গবেষণাকে উৎসাহিত করতে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগসমূহ প্রশংসার দাবি রাখে। গুগল, অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের চাকরিলাভ পুরো দেশের সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিশ্বব্যাপী।"

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ‘হাউ টু ইন্সপায়ার স্টুডেন্টস টু রিসার্চ একটিভিটিস ইন ইউনিভার্সিটিস?’ শীর্ষক এক সেমিনারে কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য, আমাদের গবেষণার বাস্তব-বিশ্বের প্রভাব প্রদর্শন করতে হবে। তাদের দেখাতে হবে কীভাবে তাদের কাজ সমাজে একটি পার্থক্য আনতে পারে। বাস্তব ফলাফলের সাথে গবেষণাকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দেশ্য এবং প্রেরণার অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারি।”

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের প্রশংসা করে বলেন, “একজন তরুণ, উদ্যমী এবং গবেষণামুখী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর অসাধারণ গুণাবলি রয়েছে। তাঁর কর্মজীবনের তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে একটি গবেষণা-ভিত্তিক পরিবেশ গড়ে তোলাই শুধু নয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনবান্ধব মানসিকতারও উন্নয়ন তিনি করছেন যা প্রশংসার দাবিদার।” তিনি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হককে তাঁর লেখা তিনটি গ্রন্থ উপহার দেন।

সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “উচ্চশিক্ষার মান ধরে রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতেই হবে। সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষকরা গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও শিক্ষার্থীরা গবেষণার ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন।” প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “তাঁর যুগান্তকারী গবেষণা, দূরদর্শী ধারণা এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অতুলনীয় উৎসর্গের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাত। তাঁর নাম উদ্ভাবনের সমার্থক হয়ে উঠেছে এবং তাঁর কাজ আমাদের ডিজিটাল বিশ্বের এক নতুন সংস্করণের জন্ম দিয়েছে।” এ ধরনের সেমিনার অব্যাহত রেখে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।

সেমিনারের শুরুতেই প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।

ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আশরাফুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক (ইটিএল) ড. রমা ইসলাম, প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. মাহফুজুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মো. রহমত উল্লাহ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, পরিচালক (অর্থ) মো. ইনামুল হক, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মাশরূফ আহমেদ চৌধুরী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত