সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৩৮

তিন দিনের কর্মবিরতিতে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা

দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

সরকারি কলেজ ছাড়াও এসব কর্মকর্তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), নায়েম, ব্যানবেইসে কর্মরত রয়েছেন। ফলে এসব স্থানে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা, ভর্তি কার্যক্রম, ফরম পূরণ, প্রশিক্ষণসহ সবধরনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী।

পদোন্নতি, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা, যা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো সিলেটের কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, মাধ্যমিক ও শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ কর্মবরিতি পালিত হচ্ছে।

সোমবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ন্যায্য দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ধারাবাহিক কর্মসূচি করে আসছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অবস্থান সুস্পষ্ট করেছি আমরা। এরপরও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল, যা সফলভাবে পালিত হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিসমূহ পূরণ করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ কারণে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে এসব শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এদিকে, সরকারি কলেজ শিক্ষকদের এই কর্মসূচির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, শিক্ষকদের ধর্মঘটের কারণে ঐ তিন দিনের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত