লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৪৫

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে।  ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে (১৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি  অর্পণ করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়' এবারের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদমিনারের পাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়। সেই সাথে শেখ রাসেল দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন পুলে সংযুক্ত চারটি নতুন বাস উদ্বোধন করেন দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-১ এ শেখ রাসেল দিবস -২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ইতিহাসের সব জায়গাতেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সেইসাথে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।

ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই বলেন, মাত্র এগার বছর বয়সে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। তিনি প্রতিটি শিশু যেন নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে এবং এভাবে কাউকে জীবন দিতে না হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সবাইকে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত  উপাচার্য ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, ন্যাক্কারজনকভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যা বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। তিনি আইন বহির্ভূত হত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন, যে উদ্দেশ্যে সপরিবারে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। তারা মনে করেছিল শেখ রাসেলকে হত্যা করে ফেললে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কেউ করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন।

এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। শেখ রাসেলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান মো. আব্দুল হাই ছামেনী, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও  বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত