চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

০৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:১০

চুয়েটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম (২৫) গত ২৯ শে মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তাঁরা আটটি দাবি–সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রেসক্লাবে জমা দেন।

চুয়েটের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা আট দফা দাবির কথা জানান।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহত শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দোষী লেগুনা চালককে আটক, কাপ্তাই সড়কে লেগুনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, নিউমার্কেট থেকে চুয়েট পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করা, অনিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে চুয়েট পর্যন্ত গতিরোধক নির্মাণ করা, এই রুটে প্রতি পাঁচ কিলোমিটার পর পর একটি করে ট্রাফিক চেকপোস্ট স্থাপন, রাস্তার সংস্কার এবং সম্প্রসারণ করা এবং চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে সার্বক্ষণিকভাবে দুটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা ও ব্যক্তিগত কাজে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার বন্ধ করা।

এসব দাবিতে রোববার সকাল ৮টা থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সকল অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে শিক্ষকরাও তাদের অ্যাকাডেমিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।

পরে গোলচত্বরে পেট্রোল দিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে আট দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, "আমাদের সহপাঠী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউএনও এর আশ্বাসের পরও আট দফা দাবির একটিও পূরণ হয়নি।তাই তারা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। দাবিগুলো আদায় হওয়া না পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।"

এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আলোচনাধীন আছে।দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া"

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাটে লেগুনা উল্টে গিয়ে নিহত হন মো. মোহাইমিনুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলায়। তিনি চুয়েটের শহীদ তারেক হুদা হলে থাকতেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত