নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৬ ০১:১৮

শাবি শিক্ষক সামিউল শিবির করতেন: চ্যালেঞ্জ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতার

শাহজালালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিউল ইসলাম ছাত্র জীবনে সরাসরি শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এমন চ্যালেঞ্জ করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও তৎকালীন সময়ে শাবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা  সুশান্ত দাশ গুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘আমরা সাস্টিয়ান’ এ তিনি একটি পোস্টের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করেন। পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

‘‘আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-৯৬ সেশনের ছাত্র ছিলাম,যা সিইই এর প্রথম ব্যাচ। পাবলিক এডমিন ডিপার্টমেন্টের বিথি দেবনাথ মনি এর প্রতি উক্ত বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম কর্তৃক জোর করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাতায় ''“সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর” লিখতে বাধ্য করা'' হয়েছে মর্মে অভিযোগ আমরা পেয়েছি।



আমি নিজে বিথি'র সাথে কথা বলেছি। সে স্পষ্ট বলেছে যে, শিক্ষক সামিউল তাকে গড এর পরিবর্তে আল্লাহ লিখতে নির্দেশনা দিয়েছে। পাছে সে মার্ক কম পায় সেজন্য বিষয়টি নিয়ে কাউকে অভিযোগ করেনি। আমরা যারা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তারা সবাই জানি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে এরকম প্রেসারাইজড থাকা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।

আমি পূর্নদায়িত্বশীলতার সাথে এই কথা বলতে চাই যে, শিক্ষক সামিউল ছাত্রজীবনে আমাদের সময়কালীন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রেসিডেন্ট রব এর রুমমেইট ছিলো এবং সরাসরি ছাত্রশিবির করতো।

সামিউলের ছাত্র জীবনের রাজনৈতিক অবস্থান বিষয়ে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ দিতে চান, আমি প্রস্তুুত আছি। কেউ যদি প্রমান করতে পারে এই সামিউল ছাত্রজীবনে শিবিরের সাথে জড়িত ছিলো না তাহলে আমি জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে রাজি আছি।’’

সনাতন ধর্মালম্বি ছাত্র বিথি দেবনাথকে  তার থিসিস পেপারে একনলেজমেন্ট অংশে জোর করে ‘আল্লাহর নামে শুরু’ এমন লিখতে বাধ্য করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি আবারো আলোচনায় আসেন।

অভিযোগ উঠে তিনি ছাত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তখন তিনি শাহপরাণ হলের সি ব্লকের  চতুর্থ তলায় শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে থাকতেন। তৎকালিন শিবির সভাপতি আবদুর রব এর সাথে ক্যাম্পাসে বাইকে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু শিক্ষক হওয়ার পর আওয়ামীলীগ সমর্থিত শিক্ষক প্যানেলে (একাংশ) যোগ দান করেন। বর্তমানে তিনি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক সামিউল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা এবং বানোয়াট।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত