রাবি প্রতিনিধি

১৪ অক্টোবর, ২০১৬ ২৩:০৯

রাবির তিন শিক্ষককে চাঁদা চেয়ে হুমকি

সুব্রত বাইন পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তিন শিক্ষকের কাছে চাঁদা চাওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেন ওই ফোনকারী।

হুমকি প্রাপ্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান এবং প্রভাষক ড. মোসা. শামসুন নাহার।
 
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক ভারতীয় নম্বর (৯১৮০১৭৮২২৭২৫) থেকে ফোন করে। ফোনকারী নিজেকে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে আমার কাছে চার লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাভার ইপিজেট-এ পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে এক লোক আহত হয়েছে। কলকাতার খিদিরপুরে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য ১৪ লক্ষ টাকা দরকার। আমাদের কাছে ১০ লক্ষ আছে। আপনাকে বাকি চার লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমি বলি সরি, এতো টাকা দিতে পারবো না। এর উত্তরে সুব্রত বলেন, রাজশাহী আমাদের দলের লোকজন আছে। আপনি টাকা না দিলে মুহূর্তের মধ্যেই আপনার সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে।’

এর এক ঘণ্টা পরই আমি নগরীর মতিহার থানায় চাঁদা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন তিনি। এই একই নম্বর ও নাম ব্যবহার করে সোলাইমান আলী নামে তার সাবেক এক শিক্ষার্থীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মিজানুর রহমান জানান।

একই বিভাগের প্রভাষক ড. মোসা. শামসুন নাহার জানান, গত ৬ অক্টোবর সকালে তাকেও একই নম্বর থেকে, একই নামে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। না হলে পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয় অপর প্রান্ত থেকে। সুব্রই বাইন নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শীর্ষ সন্ত্রাসী বলেও দাবি করেন।

শামসুন নাহারকে হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই একই নম্বর থেকে বাংলা বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী ফোন করেন সুব্রত বাইন। এ বিষয়ে সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘ফোন করে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে লোকটি আমাকে বলে, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি বলি, চিনতে পেরেছি। আমি পরীক্ষা দিই না, নিই এই বলে আমি ফোন রেখে দিই।’

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মিজানুর রহমান আর শামসুন নাহার থানায় জিডি করেছেন। সফিকুন্নবী সামাদী করেননি। হুমকি এসেছে ভারতীয় নাম্বার থেকে। এজন্য বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গেছে। তারপরও আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত