রাবি প্রতিনিধি

২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৬:৩৪

রুয়েটে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে অবস্থান ধর্মঘট

বাধ্যতামূলক ক্রেডিট বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনার চত্বরে ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এ সময় তারা এ নিয়ম বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) একই দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ দাবি অযৌক্তিক বলে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রুয়েট সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী বর্ষে ওঠার জন্য দুই সেমিস্টারে ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যুনতম ৩৩ ক্রেডিট পাওয়া বাধ্যতামূলক। এটি অর্জন করতে না পারলে তাকে পরবর্তী বর্ষে উঠতে দেয়া হয় না। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম চালু করা হয়।  

বরাবরের মতো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। বিশেষ করে রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সঙ্কট থাকার কারণে যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবে না তাদেরকে অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে জায়গা ও শিক্ষাগত দুই দিকেই সমস্যা হবে।

এছাড়া কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ বা অন্য কোন সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হবে। এমনকি সিলেবাসগত জটিলতাতেও পড়তে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। প্রশাসন কোন পদ্ধতি প্রণয়ন করলে সেটা সব দিক বিবেচনা করে করা উচিত বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে রুয়েট উপাচার্য শিক্ষার্থীদের এ দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, অকৃতকার্য হয়ে কি কখনো ওপরের ক্লাসে ওঠা যায়? আমরা তবুও দুই-তিনটি বিষয়ে ফেল করলেও পরের বর্ষে উঠার ব্যবস্থা রেখেছি। ওরা সব বিষয়েও ফেল করে পরবর্তী বর্ষে উঠার দাবি করছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার বিভাগীয় প্রধান ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা এন এইচ এম কামরুজ্জামান সরকার দাবি করে বলেন, ‘আজ (রোববার) ১৫ সিরিজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে জোর করেই আন্দোলন চালাচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ নিয়মেই ক্লাস করতে আগ্রহী।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত