সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৫ ২০:০০

জাফর ইকবালকে কটূক্তি: টিএসসিতে পুড়ল কয়েসের কুশপুত্তলিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে সিলেট-৩ আসনের  সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েসের কুশপুতুল পুড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখায়।‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।

গত শনিবার সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী এক অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাফর ইকবালকে সিলেট বিদ্বেষী আখ্যায়িত করে তাকে চাবুক মারার ইচ্ছা পোষণ করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।  

বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয় তিনি ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমি যদি বড় কিছু হতাম তাহলে জাফর ইকবালকে কোর্ট পয়েন্টে(সিলেটের সভা-সমাবেশের পরিচিত স্থান) ধরে এনে চাবুক মারতাম।”

এরপর থেকে সাংসদ কয়েসের সাথে সিলেটটুডে২৪ডটকমের পক্ষ থেকে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কখনো তার ফোন বন্ধ ছিলো, কখনো তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি তার পিএস এর নাম্বারে ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা যায়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আপত্তি জানিয়েও কোন ধরনের বিবৃতি আসেনি কয়েসের পক্ষ থেকে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জীবন সুদীপ বলেন, “দেশের একজন সাংসদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক। শিক্ষকের প্রতি সাংসদের এই আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।”

এ ঘটনানে দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উপর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অশুভ থাবারই একটি অংশ বলে মনে করেন তিনি।ইতোমধ্যে মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী সঞ্জীবন সুদীপ বলেন, “শুধু শাহজালাল নয়, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। কারণ তাকে আমরা সাংসদ হিসেবে দেখছি না, তিনি হলেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী শেখ ইরফান, মানোবিজ্ঞান বিভাগের নূরে নাজনীন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিবলী হাসান প্রমুখ।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত