রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২১:০২

রাবিতে ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

ইন্টার্নশিপ পেপারে স্বাক্ষর নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের (আইবিএ) এক শিক্ষককে মারধর করেছে ওই ইন্সটিটিউটের এক শিক্ষার্থী।

সোমবার দুপুর আড়াইটায় ওই শিক্ষকের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
 
মারধরের শিকার শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসনাত আলী। শিক্ষার্থী হলেন আইবিএ’র নবম ডে ব্যাচের নাহিদ হায়দার।

শিক্ষক হাসনাত আলী সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইন্টার্নশিপ পেপারের জন্য রোববার নাহিদ আমার চেম্বারে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আসেনি। আজ সোমবার দেড়টার দিকে সে আমাকে ফোন দেয়। আমি তখন বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি তাকে আড়াইটায় আসতে বলি।”

“এরই মধ্যে সে প্রক্টর দপ্তরে গিয়ে প্রক্টরকে দিয়ে আমাকে ফোন করায়। আমি আড়াইটার পরে ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সে আমার কাছে আসে। আমি তখন বলি, আমি ক্লাস করে নিই। পরে আসো। তখনই সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। শুধুমাত্র তার ইন্টার্নশিপ পেপারে স্বাক্ষর করতে দেরি হওয়ায় আমার শিক্ষকতার যোগ্যতাসহ নানা রকম বাজে কথা বলে ও মারধর করে।”

তবে নাহিদ হায়দারের দাবি, “স্যার আমার বাবা মাকে তুলে গালিগালাজ করে। এতে আমার প্রচণ্ড রাগ ওঠে। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি।”

আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, “নাহিদকে ঘটনার পরই পুলিশে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “আমার কাছে ওই শিক্ষার্থী দুপুরের দিকে এসে বলে যে, আজ আমার থিসিস পেপার জমা দেয়ার শেষ দিন। স্যার আমার পেপারে স্বাক্ষর করছেন না। তখন আমি হাসনাত স্যারকে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলি।”

শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন শিক্ষককে মারধর করা জঘন্য একটি কাজ। আমি যখন শুনেছি, ওই শিক্ষককে ওই শিক্ষার্থী মারধর করেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে দুজন সহকারি প্রক্টর ও পুলিশকে পাঠিয়ে দিয়েছি ঘটনাস্থলে।”

ওই শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “আইবিএ’র এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে এক শিক্ষার্থীকে আটক করি। তবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এখনো কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত