২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২০:৩৩
নীতিমালা অনুযায়ী কোর্স অসম্পূর্ণ থাকায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান খানের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে একই ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শিবলীর ছাত্রত্বও বাতিল হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৪৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া অসমাপ্ত কোর্স সম্পন্নের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিষয়টি রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন নিশ্চিত করেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত ৮ (আর্কিটেকচারে বিভাগের জন্য ১০) সেমিস্টারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৪ সেমিস্টার নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যে সেমিস্টারের পরীক্ষায় ৮০% কোর্স সম্পন্ন করেছে অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, এর ঠিক পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ৮০% যাদের কোর্স শেষ হবে তারা আরও ২ সেমিস্টার ভর্তির সুযোগ পাবে। এ শর্ত পূরণ না হলে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে।
ইমরান খানের একাডেমিক ফলাফল থেকে জানা যায়, তিনি ১৪০ ক্রেডিট কোর্সের মধ্যে মাত্র ২৪ ক্রেডিট সম্পন্ন করেছেন। যা মোট ক্রেডিটের ১৭%। নীতিমালা অনুযায়ী ৮০% কোর্স সম্পন্ন না করায় তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। অন্যদিকে মেহেদী হাসান শিবলীর ৫০% কোর্স সম্পন্ন করায় তারও ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত কোর্স সম্পন্নের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী দুইজন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে।
এ বিষয়ে ইমরান খান বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে আমি চার বছরেরও অধিক সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম, এখনও চিকিৎসা নিচ্ছি। সমস্ত মেডিকেল রিপোর্টসহ আমি পুনরায় ভর্তির আবেদন করব।
মেহেদী হাসান শিবলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মন্তব্য