সোহেল আহমদ, এমসি কলেজ

২৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:৩৬

বাস থেকেও নেই, ভোগান্তিতে এমসি কলেজের পরীক্ষার্থীরা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত মুরারিচাঁদ(এমসি) কলেজের অবস্থান সিলেট নগরীর টিলাগড়ে। প্রায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী হয়ে যাওয়া এ কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয় রিকাবীবাজারস্থ মদনমোহন কলেজ ও চৌহাট্টায় অবস্থিত সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ।

এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য রয়েছে উপহার পাওয়া দু'টি বাস। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধায় দুইটি কেন্দ্র যেতেও ব্যবহৃত হয় বাস দু'টি।

বুধবার ছিলো স্নাতক(সম্মান) ১ম বর্ষের পরীক্ষা। প্রতিদিনের মতো আজো ক্যাম্পাস থেকে বাস ছেড়েছে তবে একটি। যার ফলে যাওয়ার সময়ে পরীক্ষার্থী বাসে তুলনামূলক কম উঠলেও সন্ধায় শেষ হওয়ায় পরীক্ষা ফেরৎ শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠেছে অনেক শিক্ষার্থী। ৫২ জনের বাসের সিটে শতাধিক শিক্ষার্থী উঠায় গাদাগাদি আর অনেকটা ঝুলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

স্নাতক প্রথম বর্ষ পরীক্ষার্থী আজহার উদ্দিন বলেন, 'চার ঘন্টার পরীক্ষার পর সবাই ক্লান্ত। বাস এসেছে একটি, দাঁড়াবার জায়গাটুকও নেই। গাদাগাদিতে বমিও করেছে কয়েকজন।'

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, 'কলেজে দুটি বাসের একটি সচল থাকায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দুই-তিনগুন শিক্ষার্থী বাসে উঠতে বাধ্য হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী পরিবহনের দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক তোফায়েল অাহাম্মদ বলেন, 'আমাদের একজন বাস চালক অসুস্থ। তাই একটি বাস দিয়ে কার্যক্রক চলছে। চালক সুস্থ হলেই অপর বাসটিও চালু হবে।'

উল্ল্যখ্য, প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর এমসি কলেজে বছরে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিবহন বাবদ নেয়া হয় চারশ'ত টাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত